প্রতিদিনের আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে বসার দাবীতে বিক্ষাভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন হকাররা।
৬ মার্চ শনিবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ২নং রেলগেইট হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেন।
এসময় হকাররা ফুটপাতে বসার দাবিতে প্রতিদিন বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রয়োজন হলে তারা সকাল সন্ধা বিক্ষোভ মিছিল করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
হকার্স নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রাজপথে থেকে আমরা লড়াই সংগ্রাম করে আসছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলবে। আমরা কোনো বেআইনি অধিকারে লড়াই করছি না। অনেকেই আমাদের অবৈধ হকার বলেন। কিন্তু আমরা অবৈধ হকার না জাতিসংঘ আমাদের বৈধতা দিয়েছে। দেশীয় অর্থনীতিতে হকাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শিক্ষিত নামের কিছু অশিক্ষিত লোক আমাদের অবৈধ হকার বলে।
‘আমরা অবৈধ না আমরা এদেশের নাগরিক। আমরা ভেসে আসি নাই। আমরা গরীব বলে আমাদের অবৈধ বলার সাহস পায়। আমরা রোহিঙ্গা না। এদেশে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের আছে। আমরা কাজ চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু আমরা সরকারের ভিতরে আরেক সরকার দেখতে পাই। তারা আমাদের অবৈধ বলে উচ্ছেদ করার পায়তারা করে। উচ্ছেদ করা এতো সহজ না। আমরা লড়বো। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা আব্দুল হাই শরীফ, জাহাঙ্গীর আলম গোলক, ইকবাল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এমন মিছিল শেষে কয়েকজন হকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাঁদাবাজ আসাদ, রহিম মুন্সীসহ এই চক্রটি নানাভাবে আমাদের মতো দরিদ্র হকারদের প্রতিদিন মিছিলে আসতে বাধ্য করে । মিছিলে না আসলে আসাদ পুলিশ দিয়ে আবার আমাদের হয়রানী তো করবেই । একই সাথে সুযোগ মতো ব্যবসা করার চেষ্টা করলে এই চাঁদাবাজ আসাদ চক্র আমাদের আর বসতে দেবে না । আর আসাদ চক্রকে নানাভাবে সয়ায়তা করে এই পুলিশ সদস্যরাই । কারণ চাঁদাবাজির বিশাল একটি টাকা প্রতি মাসেই থানায় পৌঁছে দিয়ে আসে । আমি নিজেও চাঁদাবাজির টাকা থানায় পৌঁছে দিয়ে আইছি ।
ক্ষুব্ধ হকারদের কেউ কেউ আরো বলেন প্রতিদিন রাতে টহল পুলিশের গাড়ি রাত ৯ টা থেকে ১১টার আগ পর্যন্ত সুগন্ধা রেস্তোরাঁয় রাতের খাবারের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা নিয়ে যায় । পুলিশের সাথে চাঁদাবাজ আসাদের রাতের খাবারের কিছু চিত্রও দেখায় সাধারণ হকাররা ৷









Discussion about this post