হকার ইস্যুতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের প্রসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়েছেন শামীম ওসমান, আমার কর্মীর গাঁয়ে আচঁড় দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কেউ এক ঘন্টাও আরামে ঘুমাতে পারবে না। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলাম । আমার বক্তব্য টা হালকা করে নিবেন না।
নারায়ণগঞ্জ নিউড আপডেট :
‘অনেক ধৈর্য ধরেছি। অনেক চুপ থেকেছি। আর নয়’ মন্তব্য করে এবং নিজের বক্তব্যকে হালকা করে না নিতে অনুরোধ জানিয়ে সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি বেঁচে থাকতে আমার কর্মীরা গায়ে কাউকে একটা আঁচড় দিতে দেব না। আমি বেঁচে থাকতে যদি কেউ আমার কর্মীর গায়ে আঁচড় দেয়, আর যদি মনে করে নারায়ণগঞ্জ শান্ত থাকবে, তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন। আমার জীবন থাকতে আমার কর্মীর গায়ে আঁচড় দিয়ে এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে শান্তিতে এক ঘণ্টাও কেউ ঘুমাতে পারবেন না।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডস্থ নম পার্কে ফতুল্ল থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ এখন একটা চারণভূমি হয়ে গেছে। ওয়ান ইলাভেন যারা এনেছিলো সেই তারা ঘনঘন নারায়ণগঞ্জে আসছে। নারায়ণগঞ্জের বদনাম হয় র্যাবের কারণে, দুর্ণীতিবাজ অফিসারদের কারণে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ কিন্তু বদনাম করে না। বাইরে থেকে এসে বদনাম করে দিয়ে যায়।
একজন সংসদ সদস্য নয়, নিজেকে মামলার আসামী হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তদন্ত করেন। যদি মনে করেন আমি সংসদ সদস্য, আমাকে ধরতে সমস্যা হবে। তাহলে এই মুহূর্তে কথা দিচ্ছি, সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব। আর আমার কারণে যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে মূল আসামীতো আমি। সেদিন তো আমি গিয়েছিলাম পার্টির সেক্রেটারির কথায়। তিনি বলেছিলেন, জলদি যাও, থামাও। ভাগ্য ভালো তিনি এটা বলেন নাই যে, ওবায়দুল কাদের হুমকের আসামী। বলা যায় না, কখন জানি সেটাও বলে দেয়।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা বুড়িগঙ্গার দিক দিয়ে যায়। এখানে খেলবেন না। বাপ দাদা চৌদ্দগোষ্ঠীকে গালি দিতে দিতে, ধৈর্য ধরতে ধরতে আর গায়ে লাগে না। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিলো না। দিলাম কারণ, খেলা দ্রুত গতিতে আগাচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের কাছে। আপনারা বিবেক দিয়ে বিচার করেন, সেদিনের ঘটনায় কারা নায়ক আর কারা খলনায়ক।
তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ধৈর্য ধরেন আপনারা। আর যদি ওইরকম খেলা শুরু হয়। তাহলে ফতুল্লার নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। তখন এই নারায়ণগঞ্জের মাটি আর দেখা যাবে না, খালি মাথা আর মাথা দেখা যাবে। আমি জানি সবাই প্রস্তুত আছে। ডাকলে সবাই আসবে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, চন্দন পঙ্গু, রতন পঙ্গু আপনাদের এই দলের জন্য। বিশজন মানুষের রক্তের উপর শুয়েছিলাম। মৃত্যুতো আমার সেদিনই হয়ে গিয়েছে। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। আমাকে সেদিন গ্রেফতার করতে আসছিলো। সেদিন লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীরা আমাকে পাহারা দিয়েছিলো।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু প্রমূখ ।









Discussion about this post