দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রিন্টিং ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা নিতে এসে আটক হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরিচ্যুত কনস্টেবলের সহযোগি ভুয়া দুদক কর্মকর্তা সানজিলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সানজিল ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জস্থ সরিষা ভিলা সংলগ্ন আলী হোসেন শেখের পুত্র।
শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে তাকে ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জস্থ প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সানজিলকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ১৪ মার্চ রাতে নাদির সরকার নামক এক প্রিন্টিং ব্যবসায়ীর নিকট থেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে এসে ইমরান হোসেন হায়দার (৪০) নামক এক প্রতারক স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা অপর দুই সহোযোগি সানজিল ও সেলিম কৌশলে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য চলতি মাসের১৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে কায়মপুর ফকির গার্মেন্টের সামনে থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরিচুত্য কনস্টেবল ইমরান হোসেন হায়দার কে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় তার দুই সহযোগি সেলিম ও তানজিল পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওয়াবদারপুল এলাকার প্রিন্টিং ব্যবসায়ি নাদির সরদার জানান, দেড় মাস আগে আটককৃত ইমরান হায়দার একটি গাড়ি নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে আসে। এবং দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে ‘আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আপনি দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছেন। নানা ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। এবং পুলিশের পরামর্শে টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ইমরান হোসেন হায়দারকে আসতে বলা হয়।’
পরে টাকা নেয়ার জন্য দুই সহযোগিসহ ইমরান ১৪ মার্চ রাতে (রোববার) আসলে তাকে আটক করা হয়।এ সময় সানজিল ও সেলিম নামক তার দুই সহযোগি পালিয়ে যায়।









Discussion about this post