ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চলে গেলেন সাংবাদিক নাদিম।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন।
এর আগে রাতে মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল মালেক (৬০) ও তার সঙ্গে মারা গেছেন মিজান (৩৪)। এনিয়ে মোট ২১ জনের মৃত্যু হলো।
এর আগে মৃতরা হলেন বাহাউদ্দিন (৬২), রাসেল (৩০), জয়নাল আবেদিন (৪০), মাইনুদ্দিন (১২), নয়ন (২৭), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুনায়েদ (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুবায়ের (৭) ও রাসেল (৩৪)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সবাই ৭০, ৮০ ও ৯০ পার্সেন্টের ওপর বার্ন। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের অবস্থা অনেক খারাপ বলে মনে করছি। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছে রোগীদের সর্বাত্মক চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সরকার প্রধান সব সময় খবর নিচ্ছেন এই রোগীদের জন্য। দেশবাসীকে অনুরোধ করবো দোয়া করার জন্য।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার পৌনে ৯টায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই মসজিদের ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময়ে মসজিদে থাকা মুসল্লীদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকে। মসজিদের ভেতর থেকে আসতে থাকে মুসল্লীদের আত্মচিৎকার। পরে আশেপাশের লোকজন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তাদের অনেকের শরীরের কাপড় ছিল না।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে বিস্ফোরণে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক ও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী উপস্থিত থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।









Discussion about this post