নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে যতটুকু উন্নয়ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। এ শহরে ময়লার রাজনীতি হয়। হকার নিয়ে রাজনীতি হয়। যানজট নিয়ে রাজনীতি হয়। তাই আমাদের এখন বসতে হবে। আমি আগাতে গেলে পাঞ্জাবী ধরে টান দেওয়া হবে। কারো আচল টান দিয়ে ধরবে। রাজধানীর পাশের এ জেলা নারায়ণগঞ্জে মূল সমস্যা সমন্বয় নাই।
৮ নভেম্বর রোববার রাতে ফতুল্লার উইজডম এটায়ার্সে নিজ নির্বাচনী আসনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমার সঙ্গে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি অচিরেই বসবো। লম্বা সময় নিয়ে বসবো। যাতে সমস্যাগুলোর সমাধান ঘটে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ফিরেই আনবো।
উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বন্দর ইউএনও শুক্লা সরকার, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লা সানু, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, মুছাপুরের চেয়ারম্যান মাকসুদ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, সাঈফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, আব্দুল করিম বাবু, জমশের আলী ঝন্টু, আফজাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, বন্দর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, করোনা আমাদের অনেক শিক্ষা দিয়েছে। আমাদের অনেকেই মারা গেছেন। এখন আমরা দ্রুত চেষ্টা করবো নারায়ণগঞ্জের মানুষের সুখ শান্তির জন্য একটেবিলে বসার জন্য। কারণ আমরা অনেক ঝগড়া করেছি, অনেক গালমন্দ করেছি। সকল সমস্যার সমাধান ঘটবে যদি আমরা এক টেবিলে বসতে পারি। এ শহরে এত রিকশা কেন চলবে। আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী দুর্ভাগা। নিশ্চয় আমরা কোন অন্যায় করেছি। পাপ করেছি। নতুবা কেন নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন থমকে থাকবে।
সেলিম ওসমান বলেন, আজকে আমি সকলকে নিয়ে বসেছি। আগামীতে ওয়ার্ড ও থানা নিয়ে বসবো। আমি করোনাকে ভয় পাই না। এটা প্রতিরোধে মনের জোরটাও বেশী।
সেলিম ওসমান বলেন, আমার মা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর কখনোই চাই নাই রাজনীতিতে আসবো। আমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি সেই ১৯৭৪ সালে। আমি কখনোই চাই নাই এমপি হতে জনপ্রতিনিধি হতে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জবাসীর টানে ও মায়ের নির্দেশে আমি এমপি নির্বাচন করেছি। পরবর্তীতে আমাকে সংসদে ডেকে নিয়ে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, নীট সেক্টর অসহায় হয়ে পড়লে শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জ অচল হয়ে পড়বে। এখানে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছেন। বর্তমানে নানামুখি সংকটে রয়েছে নীট শিল্প। করোনায় সময় চালু রেখে বিশাল ক্ষতির হাত থেকে নীট সেক্টরকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এর পেছনে আমাদের কত শ্রম দিতে হয়েছে সেটা অনেকেই জানেন না।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব কারখানা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি বলেই অভাব আমাদের ছুঁতে পারেনি। সামনের শীত মৌসুমের জন্য আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে।
চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। কে নির্বাচন করবে কে কি করবে সেটা এখন ভাবার সময় না। এখন সকলকে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে।








Discussion about this post