নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রফিজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধকে পাওনা ১৭শ টাকার জন্য লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে রাকিব নামে এক সমিতির মালিক।
বুধবার রাতে শিবুমার্কেট এলাকায় এঘটনায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বৃহস্পতিবার ১১ মার্চ রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেন রফিজ উদ্দিন।
এলাকাবাসী জানান, রাকিব মধ্যসস্তাপুর এলাকার রহম আলীর ছেলে। সে বিনিময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে দিনমজুর অসহায় হতদরিদ্র লোকজনদের সাথে প্রতারনা করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই মারধর করে মারাত্মক জখম করেন। তার সমিতির কোন সরকারী অনুমোদন নেই। এলাকাবাসী রাকিবের কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবী রাকিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হউক
আহত রফিজ উদ্দিন জানান, অভিযোগ তদন্তে যাওয়ার পূর্বে থানায় এসআই আরিফ পাঠান বলেন তার গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বলতে তখন গাড়ি চালক নাম জানিনা সে আমার কাছে ২হাজার টাকা দাবী করেন চা পানের জন্য। তখন আমি তাকে জানাই ১৭শ টাকা দিতে পারিনি বলে আমাকে লোহার রোড দিয়ে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে নীলা ফুলা করেছে। রাতে প্রচন্ড জ্বর ও শরীর ব্যাথায় যন্ত্রনা সহ্য করেছি। ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া চিকিৎসায় ওষুধ খেয়ে এখন কিছুটা সুস্থতাবোধ করছি তাই থানায় আসছি বিচার চাইতে। স্যার আমি রিকশা চালাই টাকা দিতে পারবোনা বিচার চাই। এরপর সে এসআই আরিফকে জানালে সে বলেন ঠিক আছে চলো ঘটনাস্থলে যাই। এরপর শিবুমার্কেট লতিফ সুপার মার্কেট বিনিময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি অফিসে এসে রাকিবকে জিজ্ঞেস করেন মারধরের কথা। তখন এসআই ও পুলিশের গাড়ি চালককে রাকিব দূরে নিয়ে কথা বলে আমাকে জানায় এঘটনায় কোন মামলা হবেনা। রাকিব যাতে কোন সমস্যা না করে বলে দিচ্ছি আর চিকিৎসার জন্য ৩ হাজার টাকা রাকিবের কাছ থেকে নিয়ে যাও। এতে আমি টাকা নিতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করলে এসআই আরিফ বলেন তাহলে রাকিব পরবর্তিতে আর কিছু করবেনা তোমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে হবে। এসময় সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিবোনা বললে পুলিশের গাড়ি চালক অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল করেন। তখন কাগজে কি লিখে সেখানে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর রাখেন জানিনা। স্বাক্ষর নেয়ার পর পুলিশ রাকিবকে বলেন সরি বলো। তখন রাকিব দূর থেকে বলে সরি যাও। পরে আমি বাসায় চলে আসি।
এবিষয়ে এসআই আরিফ পাঠান জানান, আন্তরিকতার সাথে তদন্ত করে দেখেছি তেমন মারধর করেনি। আর এ মারধরে মামলা হয়না। হাসপাতাল সামান্য জখমেই চিকিৎসাপত্রে পুলিশ কেইস সীল মেরে দেয়। তাই উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। এতে যদি আহত ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে জিডি করুক আমি আদালতের অনুমতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।









Discussion about this post