নারায়ণগঞ্জে নিউজ আপডেট :
বাকি দেয়নি; এটাই ছিল অপরাধ ! আর এ জন্যই স্বর্ণ দোকানী চন্দন কুমার বর্মনকে মারধর করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির প্রাণকৃষ্ণ। এতেই ক্ষান্ত হয়নি, মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
এমন ঘটনার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই মাস মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি স্বাক্ষরিত পত্রে উচ্চমান সহকারী (নাজির) প্রাণকৃঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানীর জন্য আগামী ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় উপস্থিত থাকতে বলা হলে জোড় তদ্বির চালায় জেলা প্রশাসক দপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী ।
তদন্ত কমিটির নির্ধারিত সময়ের একদিন পূর্বে মংগলবার ৪ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৭ টা থাকে রাত ১০ টা পর্যন্ত নাজির প্রাণকৃষ্ণ ও তার সহযোগিরা নানাভাবে হুমকি ধমকি, প্রলোভন ও একই সাথে কোন সময় কালীরবাজার স্বর্ণপট্টিতে মোবাইল কোর্ট পাঠিয়ে কাউকে হয়রানি করবে না বলে অংগিকার করে স্বর্ণ শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সভাপতি অরুন দত্ত, সহ সভাপতি বাসুদেব ও সেক্রেটারী মুকুল মজুমদারের উপস্থিতিতে অভিযোগকারী চন্দন কুমার বর্মনের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেন নাজির প্রাণকৃষ্ণ। এমন ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সংরক্ষিত রয়েছে ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) নগরীর আমলাপাড়ায় অবস্থিত কালীরবাজারে বাকিতে অংলকার না দেয়ায় দোকানীকে মারধর করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নাজির প্রাণকৃষ্ণ ।
এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে ভুক্তভোগী ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
আবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাণকৃষ্ণ কিছু অলংকার বাকীতে নিতে চায়। কিন্তু বাকী না দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে উঠে তিনি। এক পর্যায়ে মারধরও করা হয়। যাওয়ার আগে বলেন, ‘আমি ডিসি কার্যালয়ের নাজির চিনে রাখ, তোকে কালকে সকালেই মোবাইল কোর্ট করে জেল খাটাবো’।
এদিকে, ঘটনার দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও এখন বিচার না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলো স্বর্ণশীল্প সমিতির সদস্যরা।
এমন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে চন্দন কুমার বর্মন বলেন, বিষয়টি আমাদের সমিতির কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। আমি কোন মন্তব্য করবো না ।
অন্যদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্ঠা করে চলেছে নাজির প্রাণকৃষ্ণ ও তার ভাই জীবন কৃষ্ণ বণিকসহ আরো কয়েকজন। এরই ধারাবাহিকতায় মংগলবার ( ৪ ফেব্রুয়ারী ) রাতে এমন অভিনব কায়দায় হুমকি ধমকির পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ার নাটক মঞ্চায়ন করেন প্রাণকৃঞ্চ ও তার সহযোগীরা ।
এ বিষয়ে কালীরবাজার স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সভাপতি অরুন কুমার দত্ত বলেন, জেলা প্রশাসকের নাজির হয়ে এমন আচরণ আমরা কেউ মেনে নিতে পারি নাই । প্রাণকৃঞ্চ ও তার লোকজন এমন মারপিটের ঘটনায় ক্ষমা চাইতে এসেছেন । এর বেশী আমরা কিছু বলতে পারবো না।
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে নাজির প্রাণকৃষ্ণ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিলো না তাই কি করতে কি করে ফেলেছি তার জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি ।









Discussion about this post