নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সুণাম বৃদ্ধি করতে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে এরই মধ্যে শহরের মাদকের বিশাল আখড়াখ্যাত চানমারি বস্তির পুরো আস্তানা গুড়িয়ে দিয়ে বিশাল সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন । আর এমন কর্মকাণ্ডকে ম্লান করে দিচ্ছেন কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও তাদের দোষররা ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয় স্থানান্তর করা হযেছে গত কয়েক বছর যাবৎ । শহরের মেট্রাে সিনেমা হল সংলগ্ন ডিবি পুলিশের কার্যালয় থাকাকালীন সময়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যা এই কার্যালয়ে সংগঠিত হতো না । আর তৎকালীন সময়ে এই ডিবি পুলিশ কার্যালয় পরিচিত ছিলো পুলিশের টর্চার সেল হিসেবে । সেই সময় অর্থ্যাৎ প্রায় ২০/২৫ বছর যাবৎ এই ডিবি পুলিশের সকল অপকর্মের মূল হোতা ছিলেন পুলিশের কন্সষ্টেবল নূরু মিয়া। যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডিবি পুরিশের ক্যশিয়ার হিসেবে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছেন।
সেই নূরু মিয়া নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানা ( রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা ও সদর ) এলাকায় নিয়মিত ডিবি পুলিশের নাম ব্যবহারের পর বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়ীদের কে জিম্মি করে প্রতিনিয়তঃ চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে । ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা বদলী হলেও নব নিযুক্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নূরু মিয়ার ( ক্যাশিয়ারী নামধারী ) চাঁদাবাজি চালু রয়েছে বছরের পর বছর যাবৎ । দূর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ্য থাকাবস্থায়ও নূরু মি,য়ার কুকর্ম থেমে থকে নাই । লগডাউনের কারণে কোন কোন অসাধু ব্যবসাযী ডিবি পুলিশের নামে নিয়মিত মাসোয়ারা প্রদান না করতে পারায় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে কোন কোন ব্যবসায়ীকে।কোন অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না নূরু মিয়ার চাঁদাবাজি ।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইন্সপেক্টর তদন্ত ও দারোগাদের নাম ব্যবহার করে পুরো জেলার তেলচোর, গম চোর, সূতা চোর, চোরাই ক্যামিকেল ব্যবসায়ী, মদের দোকানসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার তেলচোরদের প্রায় শতাধিক আস্তানায় নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে এই নূরু মিয়া ।
কয়েক মাস পূর্বে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিগঞ্জ, ফতুল্লা ও সিআইডির ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত আনোয়ার, মিশুক ও বিশ্ব ওরফে বিশুকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সুণাম নষ্ট করার অপরাধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী কঠোর অবস্থান নিয়ে উল্লেখিত ক্যাশিয়ারদের গ্রেফতার করে । বিভিন্ন অপরাদের মামলায় ক্যাশিয়ার আনোয়ার, মিশুক ও বিশু ৪/৫ মাস যাবৎ কারাগারে থাকলেও ডিবি পুলিশের নাম ব্যবহারকারী মূল হোতা চাঁদাবাজ নূরু মিয়া ক্যাসিয়ারীর সকল সাম্রাজ্য একাই দখল করে কখনো ডিবি পুলিশের বর্তমান ওসি, ইন্সপেক্টর তদন্তও দারোগাদের নাম ব্যবহার করে প্রতি মাসে ১৫/২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে ।
সাম্প্রতিক সময়ে ডিবি পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন দূর্ধর্ষ ক্যাশিয়ারখ্যাত নূরু মিয়ার সাথে গোপন সখ্যতার কারনে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জেলার পুলিশের সূণাম বক্ষায় আলমগীর হোসেনকে বদলী করে দেয় । এরপর ডিবি পুলিশের দায়িত্বে আসেন ফকরুদ্দিনসহ আরো কয়েকজন ইন্সপেক্টর । এই ইন্সপেক্টরদের নাম ব্যবহার করে ক্যামিযার নূরু মিয়া পুরো জেলায় রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন।
৪/৫ পূর্বে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ২নং রেল গেইট এলাকায় রিক্সার সাথে ধাক্কায় পা ভেঙ্গে গেলে কিছুদিন বিছানা থেকে উঠতে না পারলে নানাভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে হুমকি ধমকি ও নানা দোহাই দিয়ে ইমরান, কালা স্বপন, নাতি সিফাত ও সজিবের মাধ্যমে বিকাশে ব্যবহার ও লোক পাঠিয়ে এবং মুঠোফোনে যোগাযোগ করে চাঁদাবাজি অব্যাহতভাবে চালিয়ে আসেছিলো । লকডাউনের কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও লক ডাউন প্রত্যাহারের সাথে সাথে টানবাজারের মদের দোকান, চোরাই সূতা কারবারীদের আস্তানা খ্যাত ‘সূতা ঘর’ এর সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে এই দূর্ধর্ষ লেবাসধারী প্রতারক ক্যাশিয়ার নূরুে মিয়াকে।
দূর্ধর্ষ ক্যাশিয়ার নূরু মিয়া সম্প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জের তেলচোরদের হোতা হিসেবে পরিচিত সিরাজের কাছ ডিবি পুলিশের ওসির নাম ব্যবসার করে চাঁদা আদায়ের সরল স্বীকারোক্তিমূলক মুঠোফোনের কথপোকথেনের রেকর্ডসহ অসংখ্য রেকর্ড সংরক্ষণে রয়েছে । এমন কথপোকথনে সিদ্ধিরগঞ্জের ইমরান নামের বিশেষ পেশার ব্যাক্তিকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে প্রশাসনের দপ্তরে দপ্তরে তদ্বির চালায় বলেও স্বীকারোক্তিমূলক আলোচনার রেকর্ড নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর দপ্তরে এসেছে ।
অত্যান্ত ধুরন্ধর নূরু মিয়া পরিবহণ ব্যবসার দোহাই দিয়ে ০১৭৮৪……….০০ নস্বরের বিকাশের মাধ্যমে প্রতিনিয়তঃ সজিব নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে ক্যাশিয়ারের অর্থ লেনদেন করেন । এ বিষয়ে যাচাই করতে উল্লেখিত নাম্বারে যোগাযোগ কররে সজিব নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন , “হ্যা এটি নূরু কাকার বিকাশ নাম্বার, কত টাকা পাঠাবেন ? পাঠাইয়া দেন দেন !”
চাঁদাবাজির স্বীকারোক্তিমূলক প্রমাণসহ এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোটি কোটি টাকার মালিক ক্যাশিয়ার নূরু মিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর প্রতিবেদককে টাকা পাঠিয়ে ম্যানেজের চেষ্টাও করেন। এক পর্যায়ে অনৈতিক অর্থ গ্রহণ না করায় নানাভাবে প্রতিবেদককে হুমকিও দেন এই নূরু মিয়া ।
লেবাসদারী দূর্ধর্ষ পুলিশের নামধারী ক্যাশিয়ার নূরু মিয়ার অত্যাচারে অতিষ্ট অনেক ব্যবসায়ী হুমকির শিকারে টটস্থ হয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
( নূরু মিয়ার চাঁদাবাজির বিশাল তালিকা জানতে চোখ রাখুন নায়ায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এ পাতায় )








Discussion about this post