নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এবং অপরাধী দমনের কারণে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচাইতে আলোচিত নাম এসপি হারুন । যিনি ইতিমধ্যেই সকলের মন জয় করতে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন । জেলার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল দলের রাজনীতিবিদদের কাছে সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে এবং জেলার পুলিশ ইউনিটকে প্রতিষ্টা করতে সক্ষম হয়েছেন বলে একবাক্যে সকলেই এসপি হারুনের কর্মদক্ষতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জেলাবাসী ।
শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জের গুটিকয়েক অপরাধী যাদের কাছে পুরো জেলাবাসী জিম্মি, তাদের কাছেই এসপি হারুন একজন খারাপ মানুষ “ চোখের কাটা “ বলে নানাভাবে মন্তব্য করছে আড়ালে আবডালে । নয়তো সাধারণ জেলাবাসী সকলেই এসপি হারুনের অপরাধ দমনের কর্মসূচীকে সাধুবাদ দিয়ে যাচ্ছে ।
নাারয়ণগঞ্জের রাজনীতিতে প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক । তার পরেই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী । পরবর্তীতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান. সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা । তাদের কাছেও পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ কাজের মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে । এক কথায় এসপি হারুন সকলের মন জয় করলেও অপরাধীচক্র কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অপরাধ নির্মূলে এসপি হারুনের কঠোর অবস্থানের কারণে ।
সকলের কাছে এসপি হারুন সমানভাবে কাজ করলেও জেলা আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে গুটি কয়েক চিহ্নিত মহাধূর্ত অপরাধীচক্র দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জবাসীকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মাদক, চাঁদাবাজি, জুয়ার রমরমা আসর, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুতা, ঝুট সন্ত্রাসীসহ সকল ধরণের অপরাধ কার্ক্রম চালিয়ে আসছিলো । তাদের জন্য আতংকের নাম এসপি হারুন । এমন কয়েকজন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় এসপি হারুনকে ক্ষমতাধর অনেকেই একের পর এক আল্টিমেটাম, স্বারকলিপি প্রদান করার হুমকি দিয়ে আসছিলো আকার ইঙ্গিতে ।
আবার এমন ইঙ্গিতপূর্ণ হুমকি দিয়েও নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে না রাখতে পেরে আপোষ মীমাংশার চেষ্টা চালাচ্ছে কোন কোন অপরাধী চক্রের হোতারা । জুয়ার আসরের মূল হোতাদের অনেকেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং এসপি হারুনের সুনজরে থাকতে নানা ভাবে চেষ্টা চালানোর ঘটনাও পর্যবেক্ষন করছেন নারায়ণগঞ্জবাসী ।
এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে সাংবাদিক কায়সার হোসেন হুমকির মুখেও পরেছেন বলে জানিয়েছেন কায়সার নিজেই । প্রকাশ্য জুয়ার মেলা থেকে একেক জন বিশেষ পেশার নামধারীরা প্রতি রাতে শেল্টার দেয়ার নাম করে ৯/১০ হাজার টাকা করে নিতে বলেও চাউর রয়েছে পুরো শহরে । অথচ এই শেল্টার দাতা হিসেবে পরিচিত প্রায় সকলেই এই শহরের বহিরাগত । যাদের কোন অস্তিত্ব শহরের না থাকলেও তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ । এই অপরাধীদের অনেকেই ওসমান পরিবারের নাম ব্যবহার করে শহরের সাধারণ মানুষের সাথে যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছিলো ।
আর এই অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ গুটি কয়েক অপরাধীদের চোখের কাটা হলেও নারায়ণগঞ্জের ২০ লাখ মানুষের কাছে আস্থার আসন দখল করে নিয়েছেন ।
২৮ এপ্রিল দুপুর ১ টায় নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সেলিম আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতো দিনে এই চিহ্নিত অপরাধীদের কেউ টিকিটিও স্পর্শ করতে পারতো না । তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য গুটিয়ে দিয়েছে এসপি হারুন । রিক্সা চালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক কুক্ষাত ভুমিদস্যু ও জামায়াত শিবিরের পৃষ্ঠপোষক জয়নাল কে ধরলেই মেয়র আইভীর ভাগ্নিপতি আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল কাদির মধ্যরাতেও খানায় দৌড়ে আসেন তাকে রক্ষা করতে । আরেক ভুমিদস্যূ মাউরা বাবুকে আটকের পর শহরে কি পরিমান সমালোচনার ঝড় উঠেছে তা শাসক গোষ্টির নেতাদের জানা না থাকলে শহরবাসী পুলিশ সুপারের অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে ই যাচ্ছে ।









Discussion about this post