নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামএউল ইসলাম অত্যান্ত গোপনীয়তা সাথে ৪৯ হাজার পিছ ইয়াবার মামলার ২২ অক্টোবর কারাগারে যাওয়ার পর ২২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ফের গোপনীয়তার সাথে দুই (২) মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পেয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ সরওয়ার্দী ওরফে আলম সরওয়ার্দী ওরফে রুবেলের বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার জামিন প্রশ্নে শুনানি শেষ।
এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম।
২০১৮ সালের ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীকে ৯ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিনি এবং আরেক পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তখন তারা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের নির্দেশেই তারা টাকা ও ইয়াবা রেখেছেন।
এ মামলার আসামি আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিতে ২০১৯ সালের ৪ মার্চ এক আদেশে হাইকোর্ট কামরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ওই একমাসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু তাতে কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়নি।
এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) নাজিম উদ্দিন আজাদকে তলব করেন হাইকোর্ট। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসির সম্পৃক্তার তথ্য আসার পরও তাকে আসামি না করায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলাটিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশনা দেন। আদালত বলেন, ‘মামলায় দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবেক ওসি কামরুল ইসলামের নাম বলেছে। এছাড়া তদন্তকালে সাক্ষীরাও তার নাম বলেছে। এ অবস্থায় তাকে বাদ দিয়ে দাখিল করা অভিযোগপত্র ত্রুটিযুক্ত বলে মনে করি।’
পরবর্তীতে ওসি কামরুল ইসলামকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।।
এরপর ২০২০ সালে ২২ অক্টোবর কঠোর গোপনীয়তায় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন কামরুল ইসলাম। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এরপর গতবছর ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন কামরুল ইসলাম।
এ অবস্থায় সরওয়ার্দী হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন।









Discussion about this post