নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পুলিশ সদস্য রুবেল আহমেদ হত্যা মামলা থেকে কালাপাহাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ওরফে স্বপনকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
দুই বছরের বেশি সময় অনুসন্ধান শেষে পিবিআই গত ৯ জানুয়ারি ৩৫ জনকে দায়ী করে আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেয়।
আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে পিবিআই বলেছে, কালাপাহাড়িয়া গ্রামের লোকজন চারটি দলে বিভক্ত। রূপ মিয়া একটি দলের নেতৃত্ব দিতেন। বাকিদের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। ২০১৭ সালে কোরবানির ঈদের আগে স্থানীয় গরুর হাটের হাসিলের টাকা গোনাকে কেন্দ্র করে এই চারটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে ঘটনার দিন তিন পক্ষের লোকজন এক হয়ে রামদা, চায়নিজ কুড়াল, চাপাতি, টেঁটাসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে কনস্টেবল রুবেল আহমদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় নিহত হন রুবেল।
২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর হত্যা করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কনস্টেবল রুবেলকে।
ঈদের ছুটিতে আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ায় নিজের গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। এই ঘটনায় তার বড় ভাই কামাল আহমেদ কালাপাহাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন।
মামলায় আরো অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে কনস্টেবল রুবেল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাভেল, শাহিন, ইয়াসিন ও সিরাজ মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এই চারজনই ঘটনার সঙ্গে চেয়ারম্যান সাইফুলের সম্পৃক্ততার কথা বলেন।
এদিকে রুবেলের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় সাংসদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ওরফে স্বপনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অভিযোগপত্র থেকে চেয়ারম্যানের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগও আনেন তারা।
সাংসদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, চেয়ারম্যান ভালো, ভদ্র ছেলে। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পরে মামলার বাদী নিজেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে আপস করেছেন। এখানে কেউ প্রভাব বিস্তার করেনি। অর্থের লেনদেনও হয়নি।
নিহত পুলিশ সদস্য রুবেল আহমেদের বাবা রূপ মিয়ার অভিযোগ, অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান তদন্ত কর্মকর্তাকে অন্তত ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।
(সূত্র: প্রথম আলো)









Discussion about this post