নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের হোতা এবং নারায়ণগঞ্জের গণপূর্তের ঠিকাদারীসহ বন্টন / টেন্ডারবাজির কর্ণধার জিকে শামীমকে ঘিরে রয়েছে নানা কলংক । জোট সরকারের শাসনামলে বিএনপির রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলে ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসীন হলে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির কিছু কুলাঙ্গারের হাত ধরে নানা অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো এই জিকে শামীম। আর শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে বিশাল ভাগবাটোয়ারা হতো রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিশেষ ক্লাবে বসে ।
কুখ্যাত টেন্ডারবাজ জিকে শামীম মাইক্রো বোঝাই করে টেন্ডারের কমিশনের টাকা দিতো বলেও চাউর রয়েছে নগরজুড়ে।
নারায়ণগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের সাবেক এক নির্বাহী প্রকৌশলী ক্ষোভ প্রকাশ করে অৎকালীন সময়ে বলেছিলেন, “বস্তায় বস্তায় টাকা বোঝাই মাইক্রো আমি নিজে জিকে শামীমের কথায় জনপ্রতিনিধির কাছে পৌছে দিয়েছি । অথচ আমাকে ওই জনপ্রতিনিধি কিংবা জিকে শামীম কোন সহযোগিতা করেন নাই। ওই সময় জিকে শামীম ছিলো গণপূর্তের দন্ডমূর্তের কর্তা ।
সেই জিকে শামীম গ্রেফতার হলে আর কেউ তার দায়িত্ব নিতে চান নাই । অথচ এই জিকে শামীম নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের কমিটিতে যুক্ত করতে কত ই না চেষ্টা চালিয়েছিলো
সেই বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীম কারাবন্দি অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি ওয়ার্ড ও হাসপাতালের অপর একটি ওয়ার্ড লকডাউন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কারাগারে থাকা জি কে শামীম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থা ঠিক না হলে গত তিনদিন আগে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার করোনা পরীক্ষা করলে পজিটিভ আসে।
জি কে শামীমের করোনা পজিটিভ আসার কারণে কারাগারের ভেতরে যে ওয়ার্ডে তিনি ছিলেন, সেই ওয়ার্ডটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া কারা হাসপাতালের ওয়ার্ডও লকডাউন করা হয়।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, কারা হাসপাতালে চারতলায় বেশ কয়েকজন বন্দি জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি। তবে কারাগারের চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
সূত্রটি আরও জানায়, নতুন বন্দি যারা কারাগারে প্রবেশ করছে, গত বছরের নিয়ম অনুযায়ী তাদের কারাগারের ভেতরে আলাদা ওয়ার্ডে আইসোলেশন করে রাখা হচ্ছে।









Discussion about this post