এতো অপরাধের ফিরিস্তি প্রকাশের পর আরো একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ক্যাশিয়ার নূরুর বিরুদ্ধে সকল রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় এবার নূরু সিদ্ধিরগঞ্জের বিশেষ পেশার নামধারী ইরানের মুঠোফোন ব্যবহার করে একজন ইন্সপেক্টর মর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে অসাধু কারবারী কাশিপুরের নাটবল্টুর কারখানা, চোরাই তারের কারখানা, গার্লস স্কুলের অবৈধ ক্যামিকেলের কারখানা, আবদুলের চোরাই তেলের দোকান, বারেকের চোরাই তেলের আস্তানা, কেরোসিন ঘাটের নাসির, সিরাজ মন্ডল, মামুন মন্ডল, জাহিদ মন্ডলসহ সকল অপরাধীদের মাসোয়ারা আদায় করছে ভিন্ন কৌশলে । কেউ কেউ এমন কৌশলে ধরা না দেয়ায় পরবর্তীতে দেখিয়ে দেয়ার হমকি দিচ্ছে নূরু ও তার সহযোগি ইমরান ।
ইমরান ও নূরুর মুটোফোন ও হোয়াটস অ্যাপ যাচাই করলেই বেড়িয়ে আসবে চাঁদাবাজির ভয়ংকর তথ্য ।
থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা থেকে ক্যাশিয়ার নুরুর টাকা উত্তোলন করার একের পর এক রেকর্ড ফাঁস হলেও রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে পুলিশ প্রশাসন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সচেতন মহলেও দেখা দিয়েছে নানা ধরণের আলোচনা সমালোচনা।
তারা বলছেন, যে ব্যক্তি পুলিশের নাম করে অবৈধ ব্যবসা থেকে টাকা উঠিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? এতে করে পুলিশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে বলে তারা মনে করেন। তারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এই জেলায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই পুলিশের সুনাম সুমন্নত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ কখনও উঠেছে তাকেও তিনি ছাড় দেননি। কিন্তু নুরুর মতো মানুষ সেই এসপির পরিশ্রমই বৃথা করে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তারা।
সচেতন মহল বলছেন, নূরুর সাথে যদি পুলিশের কোনো অসাধু ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার এবং যেসব স্থান থেকে সে টাকা উত্তোলন করতো, সেসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
সূত্র মতে, গেল কদিন ধরেই পুলিশের সাবেক কনস্টেবল নুরু ওরফে ক্যাশিয়ার নুরুর তোলাবাজির বেশ কটি রেকর্ড ফাঁস হয়। সামনে আরও রেকর্ডও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এষনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নানা জনের মাঝে নানা ধরণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে, একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পুলিশ প্রশাসন বসে নেই। ইতোমধ্যে প্রশান বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। নূরুর রেকর্ড ফাঁসের ঘটনাটিও তারা আমলে নিয়েছে। ফলে যে কোনো সময় ডিবি পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার নুরু গ্রেফতার হতে পারেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কনস্টেবল হিসেবে চাকরি করা নূরু অঢেল সম্পদের মালিক। তিনি একাধিক বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল অর্থবিত্তেরও মালিক। গ্রামেও রয়েছে তার অঢেল সম্পদ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কনস্টেবল পদে চাকরি করা একজন ব্যক্তির এত সম্পদক কী করে হয় ?
আরো একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ক্যাশিয়ার নূরুর বিরুদ্ধে সকল রেকর্ড ফাঁস হবার পর এবার নূরু সিদ্ধিরগঞ্জের বিশেষ পেশার নামধারী ইরানের মুঠোফোন ব্যবহার করে একজন ইন্সপেক্টর মর্যাদা কর্মকর্তাকে দিয়ে অসাধু কারবারী কাশিপুরের নাটবল্টুর কারখানা, চোরাই তারের কারখানা, গার্লস স্কুলের অবৈধ ক্যামিকেলের কারখানা, আবদুলের চোরাই তেলের দোকান, বারেকের আকিজ চোরাই তেলের আস্তানা, কেরোসিন ঘাটের নাসির, সিরাজ মন্ডল, মামুন মন্ডল, জাহিদ মন্ডলসহ সকল অপরাধীদের মাসোয়ারা আদায় করছে ভিন্ন কৌশলে ।









Discussion about this post