সাত খুনের পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জের দন্ডমূর্তের তৎকালীন কর্তা ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের সকলেই সকল ধরনের অপরাধ করে পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও আশেপাশের এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করে রাখতো ।
নূর হোসেনের প্রভাবে তার ভাই, কথিত স্ত্রী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক অসাধু কর্মকর্তা, বিশেষ পেশার নামধারী চক্র অপরাধ সাম্রাজ্যে নারায়ণগঞ্জকে রূপান্তরিত করে সাত খুনের মধ্য দিয়ে নূর হোসেনের দাপটের অবসান ঘটলেও এখনো তার পরিবারের সদস্যদের অপরাধ এখনো চলমান রয়েছে ।
সেই সাত খুন মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের ভাই নূর সালামের বিরুদ্ধে এবার জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
মুচলেকা দেয়ার পর বিচারাধীন জমিতে বালু ফেলে দখলের চেষ্টা চালানোয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এ আবেদন করেন সিদ্ধিরগঞ্জের ফয়সাল আহমেদ রানা নামে এক ব্যবসায়ী।
২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের বরাবরে এ আবেদন করা হয় যা শনিবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পৌছে।
এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
আবেদনে ফয়সাল আহমেদ রানা উল্লেখ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি মৌজাস্থিত সিএস ১৫৭ নং ও এসএ ২৪৮ নং আর এস ৩০ খতিয়ানভূক্ত সিএস ও এসএ ৪৮২ নং ৪৮৩ নং আরএস ১৫৩ নং দাগে মোট ৪১ শতাংশ জমি ১৩-৯-১৯৮১ ইং সালে আমার বাবা মনির হোসেন বাবুল (বর্তমানে মরহুম) বায়না করে ১৫-২-১৯৮৪ ইং সালে জনৈকা আলফাতুন নেছার নিকট থেকে ক্রয় করেন। জমি ক্রয় করার পর আমার বাবা ঐ জমিতে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবছর সরকারী খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে জনৈকা আলেমুন নেছা ও নুর সালাম হেবা ও আম-মোক্তার নামা দলিল মূলে এ জমি দাবি করে ভূমি আপিল বোর্ড, বিজ্ঞ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর আদালত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), নারায়ণগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমিতে মামলা চালানোর পর হেরে যান। নূর সালাম (সাত খুন মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের ভাই) এ জমি দখল করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমার বাবার নিকট ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমার বাবা এ ব্যপারে সরকারের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেন।
বর্তমানে এ জমি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ দেওয়ানী মামলা নং- ১১৪/২০১৫ বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন সময়ে নূর সালাম এ জমিতে যাবেন না বলে গত ১৯-৬-২০১৯ ইং তারিখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল (ক) মহোদয়ের সন্মুখে লিখিত অঙ্গীকার নামা দেয়।
ঐ অঙ্গীকারনামা সত্বেও গত সপ্তাহে নূর সালাম ও তার কিছু সন্ত্রাসী সহযোগী রাতের আঁধারে ঐ জমি দখল করার উদ্দেশ্যে ঐ জমিতে এক ট্রাক বালু ফেলা শুরু করে। কিন্তু এলাকাবাসী দেখে ফেলায় নূর সালাম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে রাতের আঁধারে জমি দখলকরার ঘটনায় এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার শান্তি বিরাজ করার স্বার্থে এবং বিচারের রায় না পাওয়া পর্যন্ত বিচারাধীন জমিতে না যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের বরাবরে আবেদন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাত খুনের মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের ভাই নূর সালাম সম্প্রতি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিচারাধীন ঐ জমিতে এক ট্রাক বালু ফেলে। এলাকাবাসী দেখে ফেলায় তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমন ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা হলো দুই কান কাটা’দের মতো । তাদের কোন লাজলজ্জা নাই । নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা টাকার জন্য এমন কোন অপরাধ নাই যা তারা করতে দ্বিধাবোধ করে ।









Discussion about this post