গডফাদার তার বিগত ত্রিশ বছরের উপাধি। নারায়ণগঞ্জ নয় সারা বাংলাদেশ তাকে জানে। আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল এখানে সকলের স্থান আছে। জনপ্রিয়দের যেমন স্থান আছে বিতর্কিতদেরও স্থান আছে। একটা বিশাল দলের মধ্যে সবাই থাকে। আওয়ামী লীগ একটি বিশাল বড় জনসমুদ্র। এখানে যে টিকে থাকার টিকে থাকবে যে চলে যাওয়ার চলে যাবে। জনতাই ক্ষমতা, তিনি (শামীম ওসমান) আমার দলের লোক। তিনি সমর্থন দিলে দিবে, না দিলে না দিবে। তিনি আমার দলের লোক। তিনি আমাকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা কোন ব্যাপার না। আমি আমার বড় ভাইকে সম্মান রেখে বহুবার চেষ্টা করেছি বলেছি। আমার কিছু করার নেই, জনগনের রায়ই রায়। তারা ষড়যন্ত্র করবে কিন্তু তা ধ্বংস করে দিবে জনগণ।
এভাবেই মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সদ্য সাবেক নাসিক মেয়র এবং মেয়র প্রার্থী চিকিৎসক সেলিনা হায়াৎ আইভী ।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে বন্দর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আইভী বলেন, আমি জনগনের জন্য কাজ করেছি। এখানে রাস্তা ড্রেন হয়েছে মাঠ হয়েছে। একটা কাজ বাকি সেটা হল কদম রসূল ব্রিজ। এই প্রজেক্টটিও পাস হয়েছে করোনার কারনে পিছিয়ে গেলেও এবার এটার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী এই কদম রসূল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্র সবকিছু দেখছেন, তারা অবগত আছে। তারা কী ব্যবস্থা নিবেন সেটা তাদের ব্যাপার। আমার বিষয় আমার জনগণ। আমার জনগণ কখনও কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গডফাদার খুনীকে গ্রহণ করেনি নারায়ণগঞ্জে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। সেটা বার বার প্রমানিত হয়েছে। কেন্দ্র কেন্দ্রের কাজ করবে, দল দলের কাজ করবে, জনতা জনতার কাজ করবে।
আইভী বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নৌকা দিয়েছেন তিনি খোজ খবর রাখছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের টিম এখানে আছে। প্রধানমন্ত্রী জানে নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার সাথে আছে। কে কী বলল সেটা প্রধানমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। একজন জনপ্রতিনিধি সকল জনগনের হয়। আমি যখন পাস করি করার পর বলেছি আমি সকলের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু আমার পরিচয় আমি আওয়ামী লীগ। আমি বংশ অনুক্রমে আওয়ামী লীগ করি। আমি যখন একটা রাস্তা করি তখন হিসাব করিনা আওয়ামী লীগ যাবে না বিএনপি যাবে। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করবো।’









Discussion about this post