ঢাকা- বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর দিননগর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ যুবকের নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাদের শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে কীভাবে সংসার চলবে সেই দুশ্চিন্তাও পেয়ে বসেছে তাদের।
উল্লেখ্য, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে তারা নিহত হন। রবিবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কাশীপুর এলাকার হাজী জজ মিয়ার ছেলে শাহীন আলম।
শাহীন কাশীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। অন্য চার জন হলেন– শাহীনের বন্ধু একই এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে ফরিদ মিয়া, শহরের পাঠানতলী এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম খোকন, পুলিশ লাইনস আফাজনগর এলাকার রশিদের ছেলে মাসুদ, নতুন কোর্ট এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে মান্নান। তারা পাঁচজনই নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা করতেন।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার তারা পাঁচ বন্ধু পটুয়াখালির কুয়াকাটা বেড়াতে যান। গত রবিবার কুয়াকাটা থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে মুকসুদপুর দিননগর এলাকায় স্পিড ব্রেকারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারের সিলিন্ডারে গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এরপর প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি গাছে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে অন্য দুজন নিজত হন।
খবর পেয়ে স্বজনরা ফরিদপুরের হাইওয়ে থানায় গেলে পুলিশ নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
পরে সেখান থেকে শাহীন ও ফরিদের লাশ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। আর খোকন ও মাসুদের লাশ চাঁদপুর জেলার মতলব থানার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মান্নানের লাশ বরিশালে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
নিহত শাহীনের মামা ফজলুল হক জানান, উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তাদের পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে। কীভাবে সংসার ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চলবে সেই চিন্তায় পড়ছে পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে কাশীপুর ঈদগাহ মাঠে শাহীন ও ফরিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে শাহীনের লাশ কাশীপুর ঈদগাহ কবরস্থানে ও ফরিদের লাশ ময়মনসিংহ এলাকায় নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফনের কথা জানিয়েছেন স্বজনরা।









Discussion about this post