দীর্ঘদিনের চরম বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে দলের নাম ব্যবহার করে লুটপাট, দূর্ণীতি, চাদাবাজি, নারী কেলেংকারী ছাড়াও এমন কোন অপকর্ম নাই যা এই পুরানো কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হওয়ার পর তা প্রচারের ক্ষেত্রেও বাকী থাকেনি ।
এনএনইউ রিপোর্ট :
এমন ব্যাপক সমালোচনার পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরও দীর্ঘ ১৫ বছর পর ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সকল কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে পূর্বের কমিটির সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীকে পূনরায় নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। সম্মেলনে কোন প্রতিদ্বন্ধি¦ না থাকায় সম্মেলনের কাউন্সিলররা পূর্বের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করার ফলে তারাই পূনরায় নির্বাচিত হন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সকল কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এবং তাদের সম্মতিক্রমে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন।
এদিকে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডস্থ ফতুল্লায় স্টেডিয়াম সংলগ্ন নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে (নম পার্ক) সকাল ১০টার পর হতে নেতাকর্মীরা সম্মেলনের স্থলে আসতে শুরু করে। সময়ের সাথে সাথে সম্মেলনের মাঠ ভরতে থাকে। বেলা ১১ টার দিকে কানায় কানায় ভরে যায় সম্মেলনের মাঠটি। আর সম্মেলনের মঞ্চটি ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়।
সম্মেলনের ভেন্যুর ভিতর ও বাহিরে ফেস্টুন, বিলবোর্ডে সাটানো হয়েছে। এমনকি সম্মেলনের ভেন্যুকে সাজানো হয়েছে। বেলা ১২টার দিকে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করে। কোরআন তেলোয়াত দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠান শুরু প্রথম পর্বে আলোচনা সভা, জাতীয় সংগীত পরিবেশ, নৃত্য এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়। দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উল্লাসের মধ্য দিয়ে সময় পাড় করেছেন। তারা তাদের নেতা নির্বাচিত করতে সম্মেলনের স্থলে সারাদিন অবস্থান করেন।
সন্ধ্যায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পরে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলরদের নিয়ে সম্মেলনের ২য় পর্বের কার্যক্রম শুরু করেন। এসময় কাউন্সিলররা এক বাক্যে সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করেন এবং তাদের নির্বাচিত করেন।
সম্মেলনের ২য় পর্বের অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো: বাদলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল, আবু জাফর বিরু, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, ডা. সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, মীর সোহেল আলী, দপ্তর সম্পাদক এস এম রাসেল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান প্রমুখ।









Discussion about this post