স্বামীকে সতিনের কাছ থেকে তালাক দেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এসে এক গৃহবধূকে সন্তানের সামনে চলন্ত অটোকিশায় শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে এ বিষয়ে সতিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সূর্যপাশা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আরিফ হোসেন খান ২০০৯ সালে ২৬ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রামের মৃত ইউসুফ খন্দকারের মেয়ে ডালিম খন্দকারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ডালিম খন্দকার তার বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জে থাকেন। তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তান আছে। আরিফ হোসেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় থেকে যাত্রীবাহি গাড়ি চালিয়ে উপার্জন করেন।
দুই বছর পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে মনমানিল্য হয়ে আরিফ হোসেন খান ফতুল্লার উত্তর চাষাঢ়া এলাকার সেকান্দার মোল্লার মেয়ে মনি আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মনি আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে আরিফ হোসেনকে তালাক দিতে অনুরোধ করেন ডালিম খন্দকার। এতে রাজি হয়ে ডালিম খন্দকারকে ফতুল্লায় আসতে বলেন মনি আক্তার। তার কথা মতে তিন বছরের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধায় সাইনবোর্ড আসেন ডালিম খন্দকার।
এরপর মোবাইল ফোনে কথা হলে মনি আক্তার সিএনজিচালিত অটো রিকশাযোগে মিসাইল আহমেদ নামে এক যুবককে নিয়ে সাইনবোর্ড আসেন। সেখান থেকে ডালিম খন্দকারকে শিশু সন্তানসহ সিএনজিতে উঠিয়ে চাষাঢ়া আসার পথে ওই যুবক চলন্ত গাড়িতেই তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। অটোরিকশাটি চাষাঢ়ায় আসলে ডালিম খন্দকার চিৎকার করেন। এ সময় ভয়ে অটোরিকশা থেকে শিশু সন্তানসহ তাকে নামিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
অভিযোগের তদন্তকারী ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, মনি আক্তার ও তার সহযোগীদের অটোরিকশাসহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।









Discussion about this post