নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে স্থানীয় মণ্ডলপাড়া জামে মসজিদের ওয়াকফকৃত ৮২.৯০ শতাংশ জায়গার অংশ দখলচেষ্টা, স্থাপনা ভাঙচুর ও মডেল মসজিদ নির্মাণে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে মসজিদ কমিটি।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের রাইফেলস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মসজিদ কমিটির সদস্যরা এই অভিযোগ আনেন।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় ৫৩৯ বছর পূর্বে বাবরীয় আমলে মোগলরা এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এমন মসজিদ পুরো জেলায় মাত্র চারটি রয়েছে। ১৯৩৫ সালে মসজিদ ও তার আশপাশের মোট ৮২.৯০ শতাংশ জায়গা ওয়াকফ এস্টেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এর মাঝে এই জায়গা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেদের বলে দাবি করলে আদালতের মামলায় রায় পায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে আপিল করলেও সেখানেও আমরা জয়ী হই। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে মেয়র আইভী ওয়াকফ এস্টেটের জায়গাটি কখনো সিটি করপোরেশনের, কখনো নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করেন। ওই বছরের আগস্ট মাসে মসজিদের সম্পত্তির পাশের জায়গা উচ্ছেদকালে মসজিদের ১১টি ঘর ভেঙে দেয়া হয়। পরে এর ক্ষতিপূরণ চাওয়া হলেও তা দেয়নি সিটি করপোরেশন। ২০১৯ সালে জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এখানে মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হলে আমরা তাতে অনাপত্তিপত্র প্রদান করি এবং দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করতে বলি। কিন্তু করোনার কারণে সেটি বন্ধ থাকে। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মেয়র আইভী অযাচিতভাবে মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে তার নাম বসান। আমাদের অনাপত্তি দেয়া মডেল মসজিদের জন্য ৪৩ শতাংশ বাদে অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ জমি গ্রাস করার পাঁয়তারা শুরু করেন। এতে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সদস্য রফিক, শহীদ, আব্দুর রহমান, বরকতউল্লাহ, অ্যাডভোকেট মোহসিন মিয়া প্রমুখ।









Discussion about this post