ফতুল্লায় তল্লা জামাই বাজার এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে আলেয়া বেগম (৪২) মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ এপ্রিল রোববার রাত ১টায় তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আলেয়ার শরীরের ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল।
নিহত ওই নারীর মেয়ে দগ্ধ মীম আক্তারের স্বামী বিপ্লব জানান, তার শাশুড়ি আলেয়া বেগম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের ৯৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল। তার শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৫৬), শ্যালক লিমন (২০), স্ত্রী মীম আক্তার (২২), তার দুই মাসের শিশুপুত্র মাহির আহমেদ ও নানি শাশুড়ি সমেত্তা বেগমকে (৬৫) বেডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের দগ্ধ সাতজনের মধ্যে আমার শ্যালিকা সাথী সুস্থ হয়েছে এবং দুর্ঘটনায় দগ্ধ আরেক পরিবারের চারজনের সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য ২৩ এপ্রিল শুক্রবার ভোরে বিস্ফোরণের পর পরিদর্শনে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ওই বাড়িটি সিলগালা করে দেয়া হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।









Discussion about this post