একেকটি দূর্ঘটনার পর কয়েকদিন তিতাসের ওমেদার, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও দালালদের দৌড়াত্ম সাময়িকভাবে বব্ধ থাকলেও । আবার কয়েকদিন পর “যে-ই লাউ সেই কদু !” নারায়ণগঞ্জ তিতাসের কেকজন ওয়েদার, পিয়ন, ককর্মচারী, কর্মকর্তা এবং দালালদের সম্পদ ও দূর্ণীতির হিসাব নিলেই বেড়িয়ে আসবে ভয়ংকর অপরাধের চিত্র । কিন্তু এই অপরাধীদের খোজ নিবেন কে / কারা ? প্রশ্ন খোদ তিতাসের এক স্বঘোষিত অসাধু কর্মকর্তার
তিতাস গ্যাসের অব্যবস্থাপনায় তল্লা গ্যাস বিস্ফোরণে হতাহতের পরিবাররের ক্ষতিপূরণ ও গ্যাস লাইন সংস্কারে ঘুষ দাবিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিতাস গ্যাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখা।
এ সময় নিহত ইসলামী যুব আন্দোলন এনসিসি ১১নং ওয়ার্ডের সাংগঠিনক সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন ও সদস্য ইব্রাহিম বিশ্বাস সহ সকল হতাহতের ক্ষতিপূরণ ও গ্যাস লাইন সংস্কারে ঘুষ দাবিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দরা ।
রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর ) সকালে তিতাস গ্যাসের অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর পদক্ষিন করে চাষাড়া বালুর মাঠ তিতাস কার্যালয় ঘেরাও করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর রহমান সাইদী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো. ইকবাল, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগর সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মো. ফারুক, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আবুল বাশার, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সসভাপতি নুর হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের শহর শাখার সহ সভাপতি আল. আব্দুস সোবহান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. সুলতান মাহমুদ, ওলামায়ে কেরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ প্রমূখ।
তিতাস কার্যালয় ঘেরাওকালে বক্তারা বলেন, শুক্রবারের বিষ্ফোরণে যে সকল লোকজন দগ্ধ হয়েছে তাদের পরিবারকে তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা এবং যারা গুরুতর আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা এবং চিকিৎসরিত অবস্থায় আছে তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। আমরা এখানে বক্তব্য দিতে আসিনি, আমরা এসেছি প্রতিবাদ জানাতে। আর কত প্রাণ গেলে আপনাদের চক্ষু খুলবে, আর কত প্রাণ গেলে আপনাদের বিবেক খুলবে।বাংলাদেশ মুসলিম দেশ তা বোঝা যাবে মসজিদ ব্যবস্থাপনা দেখে। অথচ আজ মসজিদেই কোন নিরাপত্তা নেই। দেওয়ানবগের মতো এত বড় লোক নারায়ণগঞ্জ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সেখানে তিতাস গ্যাস তো চুনোপটি ।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার তল্লা বড় মাসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের দগ্ধ অর্ধশতাধিক মুসুল্লীদের মধ্যে মাত্র দুই দিনেই মারা গেছেন ২৪ জন। শুক্রবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ভর্তি থাজা ৩৭ জনের মধ্যে ২৪ জন মুসুল্লী মৃত্যু বরণ করলে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকগণ সাংবাদিকদের বলেছেন, মুসুল্লীদের সকলের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের বাচানো খুবই কঠিন । নারায়ণগঞ্জ তিতাস জোনে চাকরীরত প্রায় সকলেই আংগুল ফুলে কলাগাছ বপ্লে গেছেন । একজন ওমেদার টাইপিস্টও কোটি কোটি টাকার মালিক। আর সরকারী চাকুরীরত পিয়ন থেকে কর্মকর্তাদের প্রায় সকলেই যেন ধন সম্পদের কুমির ।
নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ওমেদার, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগের পাহাড় জনমনে পুঞ্জিভূত হলেও কেউ কোন প্রতিকার না পাওয়ায় লিখিত অভিযোগ কেউ কিরেন না। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও সকল উপজেলায় তিতাস গ্যাসের একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট যুগের পর যুগ যাবৎ অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসোহারা আদায় করছে । সরকার হাজারো কোটি টাকার রাজস্ব হারালেও ওমেদার, কর্মচারী, কর্মকর্তা আর দালালরা রয়েছে দৃঢ় অবস্থায় ।
তিতাসের অবৈধ সংযোগের কারনে নারায়ণগঞ্জে গত কয়েক বছরে অসংখ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেক । অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নাটক তিতাস কর্তৃপক্ষ প্রায়ই মঞ্চায়ন করলেও আবার সেই সংযোগ গোপনে স্থাপন করে অসাধু কর্মচারী , কর্মকর্তারা অবৈধ উপার্জন ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে হরহামেশাই । নইলে কোম ধরনের বৈধতা ছাড়াই সিদ্ধিরগঞ্জে অসংখ্য চুনা ফ্যাক্টরি, অসংখ্য কয়েল কারখানায় সারাদিন রাত ২৪ ঘন্টা দেশের মূল্যবান সম্পদ তিতাস গ্যাস চুরির মহোৎসব চলছে প্রকাশ্যেই । এমন কারখানা ছাড়াও অন্যান্য কারখানায় অনুরূপ চুরি চলছে এক প্রকার ঘোষনা দিয়েই ।
সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ফতুল্লার শিল্প কারখানা, বাসা বাড়িতে, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁ ও বন্দর উপজেলায় হাজার হাজার সংযোগ দিয়ে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা মাসোয়ারা আদায় করছে তিতাসের ওমেদার , পিয়ন, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও দালালরা । আর এই মাসোহারা আদায় করতে প্রতিটি এলাকায় আলাদা আলাদা লোক নিয়োগ রয়েছে ।
কোন অঘটন ঘটলে কয়েকদিনের জন্য লোক দেখানো কার্যক্রম চললেও আবার “যেই লাউ সেই কদু” হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিতাসের এক অসাধু কর্মকর্তা । তিনি ক্ষোভ প্রজাশ করে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেছেন, “আমি সাধু থাকার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েই এখন অসাধুদের সাথে হাত মিলাতে বাধ্য হয়েছি। নইলে আমার লাশটি ও খুজে পাবে না আমার পরিবার । ভয়ংকর অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছে তিতাসের ওমেদার, দালাল, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ।”









Discussion about this post