নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সপ্তম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিল্লাল (১৯), জাহিদ (২০), নীরব (১৯), তাইজুল (১৯), সিয়াম (১৯), রবিন (২৩), খাইরুল (২২), রিফাত (২০) এবং আরেক কিশোরী।
তাদের মধ্যে সাত জন ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ও তিন জন সহযোগী।
এমন দলবেঁধে ধর্ষনের ঘটনায় ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে । এদের মধ্যে রানা নামের এক সহযোগি ঘটনার সাক্ষি হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে । অপর আসামীদের মধ্যে চার জন নিজেদের দায় স্বীকার করায় আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসিন ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ ধর্ষকদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বলে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশ কর্মকর্তা রেহেনা । পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারে পাঠায় কোর্ট পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্কুলশিক্ষার্থীর বাবা ১০ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। পরে আজ ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বরাতে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট স্কুল শিক্ষার্থী তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে যায়। সন্ধ্যায় ১০ থেকে ১২ জন বখাটে যুবক কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, ওই ঘটনায় আজ ভোরে কিশোরীর বাবা ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সাব্বির মিয়া (২০) নামে এক যুবক এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, ‘পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৯ জন ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।









Discussion about this post