নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
দীর্ঘ ৮/১০ বছর পর আবার ধরা পরলো ১০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ শাড়ি/থ্রিপিছ । ৮/১০ বছর আগে বন্দর থানা, সোনারগাঁ থানা, ফতুল্লা থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও ডিবি পুরিশ প্রায়ই বিশাল বিশাল চোরাইকারবারীদের এমন শাড়ি/থ্রিপিছ আটক করতো । এরপর অনেক দিন আর কোন এমন আটকের খবর পাই নাই । থানা ও ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ারদের ম্যানেজ করে গত ৮/১০ বছর বিনা বাধায় চোরাইকারবারীরা তাদের কাজ করে যাওয়ায় আটকের খবর পাওয়া যায় নাই । যে সকল ক্যাশিয়ার ও অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের কারণে চোরাকারবারীরা এতাদিন নিষিদ্ধ পন্যের ব্যবসা করার সুযোগ পেলো তারা এখন কোথায় ? এমন মন্তব্য ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করতে আসা একজন সাধারণ ব্যবসায়ীর ।
এমন মন্তব্যের পর আলোচনা করতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে অনুরোধ করেছেন তার নাম প্রকাশ না করার জন্য ।
জানা যায় , সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ লাখ টাকার ১ হাজার ৩ পিস ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই শাড়ি পাচারের কাছে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্টো-ন-১৫-৪৯০৬) সহ এর চালক মোঃ রফিকুল (৩০) ও হেলপার আব্দুস সালাম (৪৫) কে আটক করা হয়।
আটক চালক মোঃ রফিকুল কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মইসেল এলাকার মৃত বাবলু মিয়ার ছেলে ও হেলপার সালাম কুমিল্লা কতোয়ালী থানার জোরামেস এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। এছাড়াও ওই কভার্ডভ্যান থেকে ৮০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস (হেড কোয়ার্টার) এর উপস্থিতি কভার্ডভ্যানের তালা খুলে মালামাল সিজার লিষ্ট করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশ থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২৬টি বস্তায় থাকা ১ হাজার ৩ পিস ভারতীয় শাড়ী কাপড় বোঝাই একটি কভ্যার্ডভ্যানটি ও চালক-হেলপারকে আটক করা হয়।
পরে কভার্ডভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ৮০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। শাড়ীর মালিকের সন্ধান করতে গিয়ে অভিযান সম্পর্কে তথ্য দিতে আমাদের সাময়িক বিলম্ব হয়ছে। তাদেরকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে এ পাচার কাজের সম্পৃক্তদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করা অনুরোধ করে তীর্যক মন্তব্যকারী সিদ্ধিরগঞ্জের এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, কুমির্লার প্রায় ২০ জনের একটি মক্তিশালী চোরাই কারবারী চক্র মিলিতভাবে কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ারদের মাধ্যমে পরিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শত শত কোটি টাকার চোরাকারবারী চালিয়ে আসছিলো বিশাল এই চক্রটি । বিগত ৮/১০ বছরের আগের সকল চোরাই মালমালের মামলাগুরো যাচাই করলেই বেড়িয়ে আসবে ওই মামলাগুলোতে কোন রাঘববোয়ালদের নাম আর বেড়িয়ে আসে নাই ।
এমন অভিযানের বিসয়ে ইন্সপেক্টর তদন্ত নজরুল ইসলাম বলেন, ৮/১০ বছর অভিযান না চললেও এবার পুলিশ সুপারের কঠোর আদেশে অব্যাহতভাবেই এমন অভিযান চলবেই । কুমিল্লার যত শক্তিশালী চক্রই থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আসতে হবেই ।









Discussion about this post