অসংখ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, সার্বক্ষনিক পুলিশ প্রহরার সর্বোচ্চ ১০ গজের মধ্যে শহরের কালীরবাজার স্বর্ণপট্টির স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রতিনিয়তঃ কালীরবাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে সমালোচিত হচ্ছে ।
এর পূর্বেও জুয়েলারী মালিক সমতির সভাপতির মালিকানাধীন আল আমিন জুয়েলার্সে বোমা ফাটিয়ে জনাকীর্ণ প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে ওই ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করে নাই কেউ । এমন কয়েকটি চাঞ্চ্যকর ঘটনার কোন সুরাহা না হওয়ায় খোদ স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নানা অপরাধে জড়িত থাকায় এমন চাঞ্চল্যকর ডাকাতি / চুরি, দোকান ভেঙ্গে মালামাল লুটের কোন সুরাহা হয় না।
এমন মন্তব্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে আরো একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইন্টারনেটে আমরা দেখেছি । অনেকেই অনুমান করে আলোচনা করেছে, এই কার্তিক জুয়েলার্সে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনার সাথে স্বর্ণ পট্টির কেউ না কেউ জড়িত থকতে পারে । আর কার্তিক জুয়েলার্সের প্রয়াত মালিক লক্ষণ বর্মন জীবদ্দশায় পুরো দেশের ডাকাতদের সাথে সখ্যতা রেখে ডাকাতির স্বর্ণালংকার কেনা-বেচা করতো । কার্তিক জুয়েলার্সে মূল মালিক লক্ষণ বর্মন মাত্র কয়েক বছর পূর্বেও একটি দোকানে মাত্র ৮/৯ হাজার টাকা বেতনে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো । সেই লক্ষণ বর্মন রাতারাতি কি করে কোটি কোটি টাকায় কয়েকটি দোকান ও বিশাল সম্পদের মালিক হলো । এমন ঘটনায় পুরো স্বর্ণপট্টির সকলেই হতবাক হয়েছেন ।
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই কার্তিক জুয়েলার্সের এমন দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের মুখোষ উম্মাচনের দাবী করছি । কিন্তু সকলের আশংকা এমন দূর্ধর্ষ চুরির নেপথ্যে কি কার্তিক জুয়েলার্সের কারো কোন সম্পৃক্ততা থাকতে পারে । তা জোড়ালো তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরী । নইলে পূর্বের ন্যায় আবারো কোন না কোন অঘটন ঘটনার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
এমন চাঞ্চল্যকর মামলার বিষয়ে সদর মডেল থানার উপ- পরিদশর্ক এস আই আজাহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্স মাধ্যমে আসামি শণাক্ত করার চেষ্টা চলছে । এছাড়াও জেলা ও জেলার বাহির যারা এসব কমর্কান্ডের সাথে জড়িত তাদের ও নজরে রেখে কাজ করা হচ্ছে। অতি দ্রুত আসামি ধরাতে সক্ষম হব।
তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, ফতুল্লা থানা এলাকায় দারোগা জহিরুলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় কার্তিক জুয়েলার্সের মালিক প্রয়াত লক্ষণ বর্মণ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ থেকে দীর্ঘদিন রিমান্ডের পর কারাগারেও ছিলেন । কারাগারে থাকাবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাতদের সাথে তার সখ্যতাও ছিলো এমন কথা চাউর রয়েছে স্বর্ণপটিতে।

অনেকেই আরো বলেন, অত্যান্ত ধূর্ত টিটন বর্মনের কাছে পুরানো ডাকাতির অনেক ঘটনা এবং পারিবারিক দ্বন্ধ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে কিনা তা খতিতে দেখে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরী ।









Discussion about this post