এনএনইউ রিপোর্ট :
ডা. এন. আলম, এমবিবিএস, সিএমইউ, ডিএমইউ, কনাসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) নামীয় ৩ জন রোগীর ৩টি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ১টি মনিটর, ১টি সিপিইউ ও ২টি প্রিন্টার জব্দ করার পাশাপাশি রূপগঞ্জ থেকে মো.নূরে আলম (৩৬) নামে এক ভূয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে রূপগরে মুশরী সাবাসপুর হাসপাতাল মোড়ে অবস্থিত ‘মডার্ন হেলথ্ সেন্টার’ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র্যাব-১১ এর উপপরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অভিযানে র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার এমবিবিএস ডাক্তারী সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে তা দেখাতে না পারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে গ্রেফতারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মো, নূরে আলমের বাড়ি আড়াইহাজার থানার ধুপতারা এলাকায়। ২০০১ সালে স্থানীয় স্কুল হতে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং ২০০৪ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে জিপিএ-২.৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। সে মেডিকেল ওটি বয় (অপারেশন থিয়েটারে সাহায্যকারী) হিসেবে কাজ করত।
মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, পরে ২০০৮ সালে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস সার্টিফিকেট ক্রয় করে নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রি এমবিবিএস, সিএমইউ, ডিএমইউ, কনাসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) যুক্ত করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
সে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও কনসালটেন্ট সনোলজিস্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন‘মেডার্ন হেলথ্ সেন্টার’ এ রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে আসছিল।
এমন প্রতারনার কারণে রূপগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান নাজমুস সাকিব ।
উল্লেখ্য চলতি বছরে নারায়ণগঞ্জে কয়েকজন এমন প্রতারক চিকিৎসক সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ধরা পরার পরও প্রতারনা করে আসছিলো মো.নূর এ আলম (৩৬) ।








