জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে বন্দর ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের ৫টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ইট ভাটা কোন ধরনের আইন না মেনে পরিবেশ অধিদপ্তর, ভ্যাট কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রভাবশালী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় অসাধু কর্মকর্তাদের নানা উপঠৌকনে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর যাবৎ অবৈধ ইট ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে ।
পরিবেশ ধ্বংস করে এমন অপকর্ম চলছে শুধু ঘুষের মতো ঘৃণ্য যোগসাজশের মাধ্যমে । এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন সোচ্চার হলেও ঘুষখোর চক্র আইন ও অর্থের অপব্যবহার করে পরিবেশের ধ্বংসলীলা চলছেই
বন্দরে কৃষিজমিসহ জনবসতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রায় ৫০টির মতো ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব ইটভাটার কারণে বিলুপ্তহচ্ছে কৃষিজমি, অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকিও বেড়েই চলছে। বন্দরের মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়নে এসব ইটভাটার ছড়াছড়ি।
গত বছর পরিবেশ দূষণ এবং সরকারের আইন ও বিধিনিষেধ অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে বন্দরে ৫টি ইটভাটাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওই অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় এবং আবাদী জমি বিনষ্টসহ নিয়ম বর্হিভূতভাবে পরিচালনার দায়ে মুসাপুর ইউনিয়নের চাচা-ভাতিজা ব্রিক ফিল্ডকে ১ লাখ, বন্ধু ব্রিক ফিল্ডকে ৫ লাখ, একতা ব্রিক ফিল্ডকে ৫ লাখ, বিসমিল্লাহ ব্রিক ফিল্ডকে ২ লাখ এবং মাশাল্লাহ ব্রিক ফিল্ডকে ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি পাঁচটি ইটভাটার মধ্যে তিনটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে চুল্লি ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
এত কিছুর পরেও বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের ফুলহর এলাকায় স্কুল ও মাদ্রাসার সামনে কৃষি জমি দখল করে স্থানীয় এক কথিত যুবলীগ নেতা গড়ে তুলেছে অবৈধ ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটার দুষণের কারণে পবিবেশ রক্ষার্থে এলাকাবাসী সরকারী বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন সুরাহা না হওয়ায় হতাশা ব্যাক্ত করেছেন উক্ত এলাকার জনগন।
বন্দর উপজেলার মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা। যার অধিকাংশ গড়ে উঠেছে সরকারী নিয়মনীতির বহির্ভূত।
এছাড়াও গত সপ্তাহে বন্দরে কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন বন্ধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বন্দর উপজেলাবাসী।
স্মারক লিপিতে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ি, নয়ামাটি, ধামগড়, মদনপুর, মালামত ও চৈড়ারবাড়ি গ্রামের পাঁচশতাধিক লোক স্বাক্ষর করেন।
ধামগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ি এলাকায় বুনিয়াদি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সাউদ বাড়ি সংলগ্ন কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের পায়তাঁরা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রায় ২০/২৫ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে ইতোমধ্যে ইটভাটা নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে। ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আইউব আলীসহ কয়েকজন ইটভাটাটি নির্মাণ করছেন বলে জানা যায়। ইটভাটা চালু হলে প্রাকৃতিক ও পরিবেশের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে। সেই সাথে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষ।









Discussion about this post