এরপূর্বেও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি এলাকায় হান্নান নামের এক পুলিশ সদস্য কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে ব্যাপক চাউর রয়েছে ৷ পুলিশ পিটিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ছাড়াও বহু অঘটনের জন্ম দিয়েছে জালকুড়ির নিম্নে উল্লেখিত মামলার আসামীরা । যা অনেজেই এখনো মুখ খুলতে গিয়ে আতংকে থাকেন । পুলিশ পিটানোর ঘটনা ছাড়াও অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধামাচাপা পরে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন এলাকার অনেকেই।
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণকে (পুলিশ সদস্য) ডাকাত আখ্যা দিয়ে লাঠিপেটা করলো অর্ধশত লোক।
দিয়েছেন খুনের হুমকিও। এত কিছুর পর ৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার হয়নি পলাতক ৪৯ জন আসামীর কেউ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাবেক এক ডিআইজির স্বজন হওয়ার পুলিশ সদস্যদের লাঠিপেটা করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অভিযুক্তরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি এলাকার অনেকেই বলেন, মামলা হলেও যারা হামলা করেছেন তারা সকলেই তো রয়েছে এলাকায় । পুলিশ পিটিয়ে আসামীরা এলাকায় থেকেই নানাভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তঃঃ।
তবে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘অপরাধী অপরাধীই, সে যেই হক’।
গত ১৪ নভেম্বর পরোয়ানা জারি হওয়া আসামীকে ধরতে গিয়ে জালকুড়ির কড়াইতলা এলাকায় ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় এএসআই মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা, মারপিট করে পুলিশ সদস্যদের আহত ও পুলিশ সদস্যদের খুনের হুমকী প্রদানের অভিযোগে ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৫০৬/৩৪ ধারায় মামলা করেছেন।
এ সময় মারধরের অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখালেও পলাতক রয়েছে আমিনুল ইসলামের ছেলে রবিন (৩৫)। এছাড়া তার সহযোগী অভিযুক্ত ফকির মনির (৪০), মতিন(৪৫), আক্কাস(৪২), আশিক(২৫), বিল্লাল (৪০), সেলিম(৪৫), আলী হোসেন ও সোহাগকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আসামীর সাবেক ডিআইজি কামাল হোসেনের স্বজন পরিচয় দিতেন। জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ায় কথা ভেসে বেড়াচ্ছে ‘সাবেক ডিআইজি কামাল হোসেন’ ব্যাপারটিকে দেখছেন। তাই পুলিশকে মারধরের পরেও গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এএসআই মো. নুরুজ্জামান সঙ্গী অফিসার নিয়ে ১৪ নভেম্বর ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী মো. বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাত জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় আমিনুল ইসলামের বাড়ীতে অবস্থান করছে। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে রাত ১২টা ১০ মিনিটে স্থানীয় নাইটগার্ড নাসির (৪০) কে সঙ্গে নিয়ে আমিনুল ইসলামের বাড়ীতে যায়। এ সময় আমিনুল ইসলামকে ডাক দিলে সে ঘরের দরজা না খুলে ভিতর থেকে পুলিশকে বিভিন্ন ধরনের অশালীন ও উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বার্তা বলতে থাকে। বাড়ীর মালিক স্থানীয় মসজিদের ফোন করিয়া বলে, ‘বাড়ীতে ডাকাত পড়েছে’। মাইকেও সেই ঘোষণা দেন। এরপর গ্রেপ্তার আসামী আমিনুল ইসলাম, মারুফ খান, সামসুজ্জামান ও পলাতক আসামী রবিনসহ আসামীরা মারপিট করে পুলিশ সদস্যদের আহত ও হুমকী প্রদান করেন। বলেন, কোন পুলিশ বাড়ীতে কোন বিষয়ে নিয়ে আসলে খুন করে ফেলবো’।
এ ঘটনায় বিচার দাবি করছি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরাও।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, তারা পলাতক আছে। অপরাধী অপরাধীই তারা কে বা কারা সেটা দেখার সুযোগ নেই, তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post