নারায়ণগঞ্জে র্যাব-পুলিশের কর্মকর্তাসহ ৮২জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের চার কর্মকর্তাসহ ৩৯ জন এবং পুলিশের পরিদর্শকসহ ৪৩ জন।
র্যাবের আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭জন হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি আছেন; অন্যরা ব্যাটালিয়ন কার্যালয়েই আইসোলেশনে রয়েছেন। পুলিশের আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে আইসোলেশনে আর অন্যরা পুলিশ লাইনস ও বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
আক্রান্ত সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন র্যাব ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন জেলা পুলিশের দুজন পরিদর্শক ও সাতজন উপ পরিদর্শক (এসআই)।
এঁদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসায় করোনামুক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ২৮ জন নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় জেলা পুলিশ লাইনেস ও অন্যরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ’আমরা ধীরে ধীরে সবার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছি। আরও ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সুরক্ষা নিয়েই জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।’
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ ব্যাটালিয়নে করোনায় আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে চারজন কর্মকর্তা। আক্রান্ত ৮ জন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি আছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ৫ জন ও শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ জন। অন্যরা ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আইসোলেশনে আছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাবের ব্যাটালিয়ন অধিকনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার গণমাধ্যম কে বলেন, তাঁদের ব্যাটালিয়নের মোট ২৫১ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত চার কর্মকর্তাসহ ৩৯ জনের প্রতিবেদন ’পজিটিভ’ এসেছে। এখনো অনেকগুলো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে আসেনি। আক্রান্ত কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ নেই এবং সবাই সুস্থ আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মকর্তাসহ র্যাবের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের টহলসহ নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত আছে









Discussion about this post