জামালপুর জেলার জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ঘিরে গত কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে নিজ দপ্তরের সহকর্মীর সাথে নগ্ন ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সকল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য । নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সাবেক এক ডিসি নিজে তার দপ্তরে বসেই ফেনসিডিল খেতেন ! সাবেক এক ডিসি নারী নিয়ে কেলেংকারীও করতেন । নিজ দপ্তরের নারী সহকর্মীদের সাথে নানা কেলেংকারীর পর এক জেলা প্রশাসক র্যাবের অভিযানে গ্রেফতারও হয়েছিলেন ! সাবেক সকল জেলা প্রশাসকদের নানা অপকর্ম নিয়ে কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে শুরু করেছে নানা সমালোচনা । ঘৃন্য অপরাধ করেও নারায়ণগঞ্জে কয়েকজন জেলা প্রশাসক তাদের অপরাধ চালিয়ে গেছে রাজনীতিবিদদের সহায়তকায় । যাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারে নাই কেউ ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাকে জামালপুর থেকে বদলি করে ‘বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোববার এ আদেশ জারির আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শনিবার রাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
বিভিন্ন গণমাধ্য তিনি বলেছিলেন, “জামালপুরের ডিসিকে ওএসডি করছি। এর প্রক্রিয়া চলছে। আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে ।
সম্প্রতি ফেইসবুকে ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড এবং ২৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় ।
এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে আলোচনা চলছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে ওই ভিডিও জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের বিশ্রাম কক্ষের। পুরুষটি জেলা প্রশাসক নিজে এবং অন্যজন ওই অফিসেরই একজন সহকর্মী।
সময় টেলিভিশন শুক্রবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে, সেখানে বলা হয়, ডিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে ওই নারী কর্মী অফিসের সবার ওপর খবরদারি চালাতে শুরু করেছিলেন। এ কারণে অফিসের কেউ ওই কক্ষে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে দেন। ফেইসবুকে আসা ভিডিও ওই ক্যামেরাতেই তোলা।
তবে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই ভিডিওর পুরুষটি তিনি নন। এটি একটি ‘সাজানো ঘটনা’।
এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, “বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post