নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডটে :
অপরাধীদের আস্তানায় যখন পুলিশ সদস্যরা প্রায় প্রতিদিন আড্ডায় ব্যস্ত থাকে তখন সেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে আর কি হয় ? এমন এক অভিযোগ নিয়ে যখন ভুক্তভোগিদের মধ্যে চরম আতংক তখন পুলিশ গত ৫ দিনেও তদন্ত শেষ করার কোন তথ্য দিতে পারে নাই । এতেই অনুমান করা যায় অপরাধীরা পুলিশের সহায়তায় নানা অপরাধ করতে সাহস করে ।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ যখন পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে জেলার সকল থানাকে আদেশ দিয়েছেন তখন ফতুল্লা থানার দারোগা মামুন উল আবেদ গত কয়েক দিনে অটো রিক্সার চাঁদাবাজির অভিযোগের কোন তদন্তই সম্পন্ন করতে না পারায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে । অনেকেই কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, পুলিশের প্রতিরাতের টহল টিম খিল মাকেটের শ্যামলের আস্তানায় আড্ডা দেয় গভীর রাত পর্যন্ত । যারা এই আস্তানায় আড্ডা দেয় তারা কি আর মামলা নেবে ? এমন শ্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অনেকেই ।
গেলো ২৪ এপ্রিল বুধবার ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অটো রিক্সা চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজির কারণে অভিযোগ ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করে অটো রিক্সা মালিকদের পক্ষে সহিদুল, মীর ইকবাল, বাবুল মিয়াসহ ১২ জন অটো রিক্সা মালিক । 
দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকার শ্যামল, মৃত তারা মিয়ার পুত্র খোকন, শাহীন, কবির, পঞ্চবটি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র হুমায়ুন, ভোলাইল এলাকার মোঃ মুক্তার, উত্তর মাসদাইর এলাকার সোহাগ সহ আরো কয়েকজন জোর পূর্বক ফতুল্লা থানাধীন অটো রিক্সা মালিক ও চালক কল্যান সমবায় সমিতির নামে প্লেট ছাপাইয়া প্লেট প্রতি ৫০০ টাকা করে সকল মালিকদের দিতে বলে এবং প্রতিমাসে ৩০০ টাকা চাঁদা দাবী করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের সন্ত্রাসী বাহিনী ফতুল্লা থানা অটো রিক্সা মালিক ও চালক সমবায় সমিতির নামে প্লেট ছাপাইয়া প্লেট প্রতি ৫শ ও প্রতি মাসে ৩শটাকা চাঁদা দাবী করে আসছে । চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অটো রিক্সার চালকদের মারধর ও গদী সিট রাখিয়া দেয় ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তা মামুন উল আবেদ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে দুই দিন কালক্ষেপন করে কোন তথ্য প্রদান করে নাই । পরবর্তীতে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
এ বিষয়ে জানাতে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্রাহ বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, অভিযোগের খবর আমার জানা নাই । তদন্ত করে পুলিশ যদি সত্যতা পায় তবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান শেল্টারদাতা, কাশিপুরের জোড়াখুনের মূল মাষ্টার মাইন্ডার, নারী কেলেংকারী ও ব্যবসা, ভুমিদস্যুতা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারী, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা যুবলীগের নেতা দাবীদার আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে চাচা শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামলের বিরুদ্ধে ফতুল্রা থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও বীরের বেশেই এলাকায় এখনো আধিপত্য বিস্তারসহ সকল ধরনের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি ।
কাশিপুর এলাকার সকলেই একবাক্যে আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে চাচা শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামল তার হাজারো অপকর্ম অস্বীকার করলেও কাশিপুর এলাকার অনেকেই মুঠোফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করলে সকলেই এক বাক্যেই বলেন,“ এমন কোন অপকর্ম আছে যা শ্যামল করে না ? এক সময় পতিতালয় উচ্ছেদের পর খিল মার্কেটের ঈদগা ও করবস্থানের সামনে বাদলের বাড়ীসহ কয়েকটি বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে পতিতা রেখে কে ব্যবসা করতো ? মিল্টনসহ জোড়া খুনের ঘটনার আগে মিল্টন তার বাহিনী নিয়ে কি শ্লোগান দিতো ? এখনো সরকারী সম্পত্তি বিক্রি করতে কে ড্রেজার স্থাপন করে রেখেছে ?” কাশিপুরের বাচ্চা থেকে বুড়ো পর্যন্ত সকলেই জানেন চাচা শ্যামল ওরফে দর্জী শ্যামলের ব্যবসা কি ? কি দিয়ে দর্জি থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনেছে ? এই ঘৃন্য ব্যক্তি টাকার জন্য সকল ধরণের অপকর্মই করে শ্যামল । সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে মাদকের এই বিশাল ব্যবসার নেপথ্যের শেল্টারদাতাকে গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে র্যাব ও পুলিশের প্রতি দাবীও জানান অনেকেই। এমন অসংখ্য এলাকাবাসীর মন্তব্য রেকর্ড রাখার পর সকলেই করজোড়ে বলেন, শ্যামল ও তার বাহিনী এতটাই ধূর্ত যে কোন উপয়েই হোক আমাদের নাম প্রকাশ হলে বিশাল ক্ষতি করবে । যেমন বিএনপির নেতা মজিদ ও হাসানের সাথে জমি ভ’মিদস্যুতার কারণে শ্যামলের দ্বন্ধ ছিলো পুরানো। সেই পুরানো জিদ মিটাতে মজিদ ও হাসানের এক সময়ের সন্ত্রাসী মিল্টনকে নিজের কব্জায় নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটিয়ে এখন শ্যামল প্রতিপক্ষদের নিয়ে চিন্তামূক্ত। শ্যামল প্রায়ই নিজেদের মাঝে দম্ভ নিয়ে একটা শ্লোক বলে থাকে তা হলো : “শত্রু মারমু, চল্লিশা খামু, যদি শত্রু বাইচ্চা যায়, তবে দুধ কলা নিয়া দেখতে যামু।” এমন শ্লোকের অর্থটা একটু চিন্তা করলেই সহজে যে কেউ অনুধাবন করতে পারবে শ্যামল কতটা ধূর্ত ।
আর এতো সকল অপকর্ম করেও থানা পুলিশের প্রায় সকল কর্মকর্তারা নিয়মিত কোন না কোন কারণে কাশিপুর এলাকায় আসলেই নানাভাবে শ্যামল স্বপ্রণোদিত হয়ে আপ্যায়ণের পাশাপাশি নগদ কিছু উপঠৌকন দিয়ে পুলিশ সদস্যদের সন্তুষ্ট করেই চালিয়ে যাছে নারী কেলেংকবারীসহ সকল অপরাধ সাম্রাজ্য ।









Discussion about this post