কখনো দামী গাড়ী আবার কখনো দামী পোষাক পরিহিত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে প্রতারণার ফাঁদ পেতে নানা অপরাধ চালিয়ে আসছিলো প্রতারক প্রদীপ চন্দ্র বর্মণসহ তার সহযোগি কয়েকজন প্রতারক । দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অপরাধ কর্মকান্ডের পর ৫ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীর বাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় প্রতারণা করতে এস নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট এর মুখোমুখি হলে দ্রুত স্থানীয় দালালদের সহায়তায় দ্রুত সটকে পরে এই প্রতারকচক্র
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বহুমুখী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে আনিসুর রহমান (৪৫) নামে তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুর ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম ও তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি নামের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র চেয়ারম্যান,
তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে থাকে এবং সে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরল বিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে চাকরি প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিতো।
পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি প্রদান করতো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, এই প্রদীপ চন্দ্র নিজে এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল।
২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতারক প্রদীপ এর প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান নিজে মূলত একজন রিকশা চালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নতুন সদস্য সংগ্রেহের কাজে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছিলো।
এদিকে গ্রেপ্তার আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post