নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি দল বৈঠক করেছে। এ বৈঠককে ঘিরে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী ) সকালে বিএনপি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত তৈমূর েআলম খন্দকার তার নিজ বাসভবনে উল্লেখিত অভিযোগসহ নানাভাবে সরকারী দলের নেতাদের আচরণ নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ তুলেন । তৈমূর আলম খন্দকার তার বক্তব্যে শামীম ওসমানপন্থী ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ও তাদের (ছাত্রলীগ নেতাদের) বাড়িতে পুলিশী হামলার নিন্দাও জ্ঞাপন করেন।
তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাত পৌনে সাতটা থেকে পৌনে আটটা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ্ ও এসপি জায়েদুল আলম ছাড়াও আওয়ামী লীগের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী। গত রোববার সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক কর্মিসভায় তৈমুর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তৈমুর সাহেব ঘুঘু দেখেছেন, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেননি। টের পাবেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এমন ঘটনার পর একের পর এক পুলিশী হামলা মামরা দেয়া হচ্ছে ।
তিনি বলেন, ওই ঘোষণার দুদিন পর সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম। ওই সময় তৈমুর অভিযোগ করেন, নানক সাহেব ঘুঘু দেখানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তিনি ঘুঘু ও ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছেন।
তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ভোটার না, তাঁরা ঢাকার মেহমান। তাঁরা মেহমানদারি করতে এসে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। তাঁরা প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ঘুঘুর ফাঁদ দেখাচ্ছেন। প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠাচ্ছেন। তাঁদেরকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন। তাঁরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সমাবেশ করছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁদের ব্যাপারে অন্ধ।’
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ্ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নানক সাহেবসহ তিনজন এসেছিলেন। তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি ওয়ার্ড ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বেশি করে ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েনের কথা বলেছেন। তাঁদের ভাষ্য, সুষ্ঠু ভোট হলে তাঁদের প্রার্থী জয়ী হবেন। এ কারণে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।’
তৈমূর আলমের এমন অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য অভিযান জোরদার করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বাধীন দল। তাঁদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে ………………………









Discussion about this post