নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপ সন্ত্রাসীর মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কেউ হতাহত না হলেও অন্তত ১০ জন পথচারীকে মারধর করে কয়েক লাখ টাকা লুটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
রোববার ২৩ আগষ্ট রাতে ফতুল্লার মধ্য ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক গ্রুপ থেকে একটি ও দুই পথচারীর পক্ষ থেকে ২টি সহ মোট ৩টি পৃথক অভিযোগ করেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধর্মগঞ্জ এলাকার তোফাজ্জল হোসেন তাপু ও রমিজ উদ্দিন ঢালী নামে দুই জনের মধ্যে ধর্মগঞ্জ মহিউস সুন্নাহ সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে বিরোধের সৃস্টি হয়। এতে দুই জনের পক্ষে অন্তত চার শতাধিক লোকজন লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছুরি হাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় তোফাজ্জল হোসেন তাপুর লোকজন পালিয়ে যায়। এসময় রজিম উদ্দিন তার বাহিনীর প্রায় দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এতে এলাকায় চরম আতংক দেখা দেয়। তখন রমিজ উদ্দিন বাহিনীর নাছির মিয়া পূর্ব বিরোধের জের ধরে তারা মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পকেট থেকে ৩ লাখ ১৫হাজার টাকা লুটে নেয়।
একই সময় রমিজ উদ্দিন বাহিনীর লোকজন একটি প্রাইভেটকার আটকিয়ে চালক রনি দাসকে মারধর করে তার গাড়ি থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং গাড়িটি ব্যাপক ভাংচুর করেছে তারা। এছাড়াও অন্তত ৮ জনকে মারধর করে টাকা পয়সা লুটে নিয়েছে রমিজ উদ্দিন বাহিনী। আহতরা অনেকেই শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী তারা মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ শান্ত এলাকাকে অশান্ত করেছে রমিজ উদ্দিন মিয়া। পুলিশের কোন এক অফিসারের শেল্টার নিয়ে রমিজ উদ্দিন বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে লাঠি ও রড দিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে মহড়া দেয়ায়। এটা সাধারণ মানুষের জন্য আতংকের। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রায় ৫/৬টি বাড়ির জানালার একটি করে গ্লাস ভেঙ্গে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে রমিজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে রমিজ উদ্দিন জানান, এলাকায় আমি ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তাপু একজন সন্ত্রাসী। সে মাদ্রাসার কমিটির বিরোধে প্রায় ৫/৬টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এছাড়াও তাপু একজন জুয়ারী, মদের আড্ডার হোতা, দেশে বিদেশে লাম্পট্যের অনেক াবিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এমন অভিযোগ ছাড়াও তাপুিএক সময় মুজা ফ্যাক্টরীর দারোযান থেকে চাঁদাবাজি, চোরাই কারবারী, ভূমিদস্যুতাসহ সকল ধরণের অপরাধ করে অসংখ্যবার গ্রেফতার হয়েও কোন লাজ লজ্জা ছাড়াই অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ।
রমিজ উদ্দিন ছাড়াও এলাকার অনেকেই জানান, সদ্য প্রয়াত এমদাদুল হক ভূইয়ার সুন্দরবন কমফোর্ট মুজা ফ্যাক্টরীর দারোয়ান হিসেবে চাকুরী করা এই তোফাজ্জাল হোসেন তাপু কি করে এতো তারাতারি শিল্পপতি হলো তার খোজ নেন। তাপু ও তার প্রয়াত বাবা কি কারণে এক সাথে জেল খেটেছেন তার খোজ নেন । দেশের বাইরে তাপু কি করছে তার খোজ নেন বলেও মন্তব্য করেছেন ।
তোফাজ্জল হোসেন তাপু জানান, আমি কারো বাড়ি ঘর ভাংচুর করিনি। কাউকে মারধরও করেনি। আমার কোন গ্রুপ নেই। কারো বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করিনি। যারা সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে ২জন পরিদর্শকের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ৩টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন পুলিশ।









Discussion about this post