নারাযণগঞ্জ সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এরাকা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এবারও বিনা ভোটে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদলের বোন জামাই সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে একজন ভুক্তভোগি অটো রিকশা চালক।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) ফতুল্লা মডেল থানায় চালকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অটো রিকশা চালক মোঃ ফোরকান হাওলাদার।
লিখিত অভিযোগে ফোরকান হাওলাদার কাশিপুর খিল মার্কেট এলাকার সাইফুল্লাহ বাদলের বোন জামাই সানাউল্লাাহ, একই এলাকার জাহাঙ্গীর, মিলন, আরিফ, ফকির ও সস্তাপুর এলাকার মানিকের নাম উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই হারেজ শিকদার জানান, অভিযোগটি এখনো আমি পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
লিখিত অভিযোগ থেকে ও ফোরকান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সানাউল্লাহগং আমাদের অটো রিকশা তাদের নারায়ণগঞ্জ সদর রিকশা ও ভ্যান মালিক কল্যাণ সমিতির সংগঠনের প্লেট ব্যবহার করার জন্য আমাদের চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা যদি তাদের সংগঠনের প্লেট ব্যবহার করলে ৩০০ টাকা প্রতিমাসে দিতে হবে। না করলেও সমপরিমাণ টাকা তাদেরকে দিতে হবে। তাদের সংগঠনের প্লেট ব্যবহার না করলে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে অটো রিকশা চুরি করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করছে। তারা এমনও বলছে যদি আমাদের সংগঠনের প্লেট ব্যবহার করো তাহলে তোমাদের অটো রিকশা চুরি হবে না। চুরি হলেও কম টাকায় তা আমরা ফেরত নিয়ে আসতে পারব। সানাউল্লাহগং বাহিনীর লোকদের ভয়ে এলাকায় ঠিকমতো অটো রিকশা চালাতে পারছি না। যেকোনো সময় তারা আমাদের গাড়ি আটক করে রাখতে পারে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৭ অক্টোবর বিকেল ৪ টার সময় দেওভোগ বাশমুলি এলাকা থেকে সানাউল্লাহ ও জাহাঙ্গীরের নির্দেশে মিলন তাদের সংগঠনের প্লেট না দেখে আমার অটো রিকশা সিট ও চাবি নিয়ে যায় এবং হুমকি প্রদান করে আমি যদি তাদের প্লেট ব্যাবহার না করি তাহলে আমাকে এলাকায় গাড়ি চালাতে দিবে না। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয় সানাউল্লাহ বাহিনীর লোকজন।
তাই এই চাঁদাবাজ সানাউল্লাহ গংদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি । এই বিষয়টি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমরা যাতে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারি ।
এমন ঘটনার বিষয়ে ফতুল্লার অনেকেই বলেন, গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতারকৃত ফতুল্লার কুখ্যাত চাঁদাবাজ নানা অপরাধের হোতা আজিজ ওরফে বরিশাইল্লা আইজ্জা র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর পুলিশের সাথে আতাঁত করে দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে পুলিশের সাথে গভীর চক্রান্তের পর এমন অভিযোগ দায়ের করিয়ে পুলিশকে ব্যবহার করছে । কারণ পুলিশের কয়েকজন অসাধু সদস্য নিয়মিত এই চাঁদাবাজ আজিজ ও চাঁদাবাজ জামাই সানাউল্লাহর কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ার আদায় করে অপরাধ করার সুযোগ করে দিচ্ছে । আর এই দুই চাঁদাবাজ গ্রুপকে দ্বন্ধে জড়িয়ে দিয়ে মাসোয়ারার হিস্যা আরো বৃদ্ধি করতে এমন চক্রান্ত চালাচ্ছে অসাধু কিছু পুলিশ সদস্যরাই ।









Discussion about this post