বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেই এরই ধারাবাহিকতায় বন্দর থানার থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে রুপালি আবাসিক এলাকায় চলছে ইসলাম ও নিজাম সিন্ডিকেটের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাণিজ্য।
তাদের কাছে সংযোগ প্রতি ৫০ হাজার টাকা দিলেই মিলে অবৈধভাবে গ্যাস লাইন ব্যবহার করার সুযোগ৷
আর পুরো রুপালি এলাকায় ইসলাম ও নিজামের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ প্রদান করার খবর পাওয়া গেছে ৷ বাবুপাড়া এলাকার ইসলাম ও ছালেহ নগর এলাকার নিজাম এবং হাজিপুর এলাকার রাজু সহ প্রায় ৮/১০ জনের এই সিন্ডিকেট শুধু রুপালি আবাসিক এলাকাতেই নয় এরা রুপালি বাগান,আহম্মদ জুটেক্স সহ আশেপাশের আরও এলাকাতেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকে।
গত ১৩ জুলাই রাতে ইসলাম ও নিজাম সিন্ডিকেট পুনরায় রুপালি আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে তিনটি গ্যাস সংযোগ প্রদান করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রাহকদের কাছ থেকে। রুপালি এলাকার প্রবাসী দয়াল এর বাড়ি ও তার এক নিকটস্থ একজনের প্লট এবং ঝরনা বেগম এর বাড়িতে এই সংযোগ প্রদান করে তারা। আর এভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে পুরো রুপালি আবাসিক এলাকায় গ্যাস চুরির মহোৎসব।
অপরদিকে বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার কারীদের কারণে প্রয়োজন মাফিক গ্যাস সরবরাহের চাপ পাচ্ছে না পাইপ লাইনে। এর আগে ইসলাম একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন অবৈধ সংযোগ প্রদানের সময় এবং একবার উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এ বিষয়ে গ্যাস সংযোগের সময় স্পট থেকে গ্রেপ্তার করে জরিমানাও করেন। এত কিছুর পরেও ইসলাম ও নিজাম তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি।
এই বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও এ ঘটনার পর থেকে গ্যাস চোর ইসলামকে থানায় দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়।









Discussion about this post