নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে সৎ মা’কে জখম ও বাবাকে হত্যা করেছে পাষন্ড সন্তান বাপ্পী (২১)।
ছুরিকাঘাতের দুই সপ্তাহ পরে ৭ অক্টোবর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পিতা বিল্লাল শেখ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই তাকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
নিহত পিতা বিল্লাল শেখ (৪৫) বন্দরের একরামপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার পাচক গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৪/৫ মাস পূর্বে বিল্লালের প্রথম স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনাকে বিয়ে করে সে। এরপর তার ২ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে অসন্তুষ্ট ছিলো তার প্রথম ছেলে বাপ্পী (২১)। এনিয়ে প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ হতো। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে বাবা মায়ের রুমে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে বাপ্পী। তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে প্রথমে ভিক্টোরিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
৭ অক্টোবর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বিল্লাল শেখ। আহত আমেনা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বিল্লাল শেখের ছোট ভাই হেলাল শেখ বাদী হয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন রাতেই বন্দরের একরামপুর এলাকা থেকে বাপ্পীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, নিজ পিতাকে হত্যার ঘটনায় বাপ্পীকে গ্রেফতার করেছি আমরা। তাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।









Discussion about this post