প্রতি মংগলবার এই হাটকে কেন্দ্র করে এমন অজ্ঞান পার্টির একাধিক চক্র সক্রিয় থাকলেও তেমন কোন অভিযানের খবর পাওয়া যায় না । গাঊসিয়া মার্কেটের তৃতীয় তলায় পুলিশের ফাড়ি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ । অনেকেই বলেন, “বাতির নিচে যে অন্ধকার !” এটাই হলো জ্বলন্ত প্রমাণ । হাটের এমন অঘটন ছাড়াও প্রতিদিন সার্বক্ষণিক এই ভূলতা এলাকায় কি পরিমাণ অপরাধ কার্যক্রম সংগঠিত হয় তা নিয়ে খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাঝেই সমালোচনা রয়েছে
রূপগঞ্জের ভূলতা গাউসিয়া মার্কেটের হাটবারে কাপড় ব্যবসায়ী আপন দুই ভায়রাকে অজ্ঞান করে ৫ লাখ টাকাসহ মোবাইল ফোন লুটে নিয়েছে মলম পার্টির সদস্যরা ।
২৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গাউছিয়া পাইকারি কাপড়ের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে তার শ্যালক আড়াইহাজার থানাধীন কলাগাছিয়া গ্রামের হাজী সোহরাবের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার ভায়রা শহিদুল ইসলামের নরসিংদীর মাধবদী থানার খাদিমাচর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে শামিম মিলে পাইকারী কাপড় কিনতে গাউছিয়া মার্কেটে আসেন। দুপুর ১২টার দিকে ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ৫০ গজ দুরে রেদোয়ান প্লাজার সামনে মলম পার্টির দুজন সদস্য তাদের মুখে রুমাল চেপে ধরেন। মুহূর্তে তারা অজ্ঞান হয়ে গেলে দুর্বত্তরা তাদের দুজনের সাথে থাকা কাপড় কেনার ৫ লাখ টাকা ও দুটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন লুটে নেয়। পরে স্থানীয় এক ভ্যানচালক দুই কাপড় ব্যবসায়ীকে গাউছিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) নাজিমউদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিন এখানে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। তাছাড়া লোকাল বাস আর লেগুনা ট্রাকের কারনে মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। এসব ব্যাপার সামাল দিতেই আমরা হিমশিম খাই। তাই সবাইকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ী এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।









Discussion about this post