নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বলেছেন, মাদকের বিরোধীতা করতে গিয়ে আজকে নিশ্চয়ই অবগত আছেন নারায়ণগঞ্জবাসী ২০১৯ সালে আমি কোথা থেকে প্রায় ৯টি গায়েবি মামলা খেয়েছি। আমার জন্মলগ্ন থেকে আমি ১৪বছর বয়স থেকে ব্যবসা করি এবং আমি প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান বলে নারায়ণগঞ্জবাসী সকলেই জানেন। নারায়ণগঞ্জে সর্বপ্রথম ৪তলা বাড়ির মালিক আমরা এবং অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। আমি জন্ম হয়েছি সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কিন্তু কিছু হলদে সাংবাদিক ৫০০ টাকার বিনিময়ে যা খুশি তা লেখে। সম্মান তো আমাকে আল্লাহ দিয়েছেন নিচে নামানোর ক্ষমতা কিন্তু কারো নাই।
তিনি বলেন, একজন পত্রিকার মধ্যে যা খুশি লিখে দিবেন। একজন পুলিশ সুপারের প্রমাণ কি তাঁর গেজেটে নাম আছে। আমি একজন প্রতিনিধি আমার গেজেটে নাম আছে। একজন সাংবাদিকের পরিচয় কি তাঁর আইডি কার্ড আছে। যদি একজন অব্যবসায়ীকে একজন চাঁদাবাজকে ব্যবসায়ী পত্রিকার মধ্যে ব্যবসায়ী বানানো হয় আমি প্রমান চাই। কিছুদিন পূর্বে আমার বিরুদ্ধে সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকায় মধ্যে লেখা হয়েছে যে আমি ২৬জন ব্যবসায়ীকে বাড়িঘর ছাড়া করেছি। আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। প্রতিবছর আমি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা সরকারকে ট্যাক্স দেই তার প্রমাণ আমার মোবাইলের মধ্যে এখনো আছে যদি আপনারা চান প্রমাণ। আমি ব্যবসা করেছি আয়ের উৎস থেকে সরকারকে ট্যাক্স দেই। আমি ব্যবসায়ী হয়ে যদি ট্যাক্স দিয়ে অব্যবসায়ীর হাতে লাঞ্ছিত হই এবং আইনকে শ্রদ্ধা করে মামলা নেই, মামলা করি তাহলে আমি হয়ে গেলাম ক্ষমতার অপব্যবহারকারী।
বাবু বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন সময় এমন এমন কিছু কথা লিখেছে যা মানুষের মনে ভাল কাজ করার যে উৎসাহ সেটা মানুষ হারিয়ে ফেলে। একটা মানুষ যখন ভাল কাজ করে তখন উচিত তার কাজের প্রশংসা করা। কিন্তু সেই প্রশংসা না করে তাকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে সেই প্রতিকার করে। আমি মাননীয় পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বলতে চাই যখনই যেই সাংবাদিক পত্রিকায় লিখবে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি আমি অপরাধ করি অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন সর্বপ্রথম আমার বিরুদ্ধে নিবেন। একটা ব্যবসায়ীর প্রমান কি ? তার ট্রেড লাইসেন্স টিন সার্টিফিকেট, বাংলাদেশ টেলিভিশনের লাইসেন্স। যে অভিযোগটা আমি করেছি তার একটা যদি তারা দেখাতে পারে আমার সমস্ত ব্যবসা আমি তাদের নামে লিখে দিবো। তারা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি। আমার ব্যবসার টাকা তারা লুটপাট করে খায় রাস্তাঘাট থেকে। আজ থেকে ৬মাস পূর্বে আমি বাদল চেয়ারম্যান ও শওকত চেয়ারম্যান বক্তাবলী উনাদের শরনাপন্ন হয়েছি। উনারা পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। উনারা পর্যন্ত এসপি সার্কেল সাহেবকে ফোন করে বলেছে, ওসি আসলাম সাহেবকে ফোন করে বলেছে। যে আমরা পারছিনা আমরা ব্যর্থ আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নেন। আমরা কোথায় প্রতিকার পাবো? আমি মামলা করতে গেলে ক্ষমতা দেখাই।
কাউন্সিলর বাবু আরো বলেন, আমি ব্যবসার আয়ের উৎস থেকেই তো মানুষকে সহযোগীতা করি। আমি প্রতি বছর দেড় থেকে দুই কোটি টাকা নিজের কষ্টের উপার্জিত টাকা দিয়ে মানুষকে সহযোগীতা করি। আমার বিরুদ্ধে ১০লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হয়েছে। মাননীয় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পূর্বে যে পুলিশ সুপার ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন মঈনুল ইসলাম সাহেব এবং ওসি ফতুল্লা মঞ্জুর কাদের সাহেব ছিলেন আমি তখন তাঁর রুমের মধ্যে বসাছিলাম। কুসুম নামের একজন সেলুন ব্যবসায়ী সে পুলিশ লাইনে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে ছিল। আমি তখন দেখলাম তার কথা স্টাইলে সুপার সাহেবের সন্দেহ হলো যে সে একজন মাদকসেবী। তখন তাকে চেক করে তার পকেট থেকে দেড়শ ইয়াবা পেল। দেড়শ ইয়াবা পাওয়ার পর তখন তাকে কোর্টে চালান করা হলো। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলো। সে কোর্ট থেকে বেরিয়ে এসে সেই মাদক ব্যবসায়ী আমার বিরুদ্ধে ১০লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে। সেই মামলা থেকে আমি অব্যাহতি পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা করা হয়েছে আমি অলরেডি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছি নির্দোষ হিসেবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে কেবল সুদক্ষ বিচক্ষন পুলিশ সুপারদের কারণে যারা আজকে নারায়ণগঞ্জে কর্মরত আছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমি অনুরোধ করবো আমি মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়কে নিয়ে আমার এলাকা পরিদর্শন করেছি। পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছি আমার নিজ অর্থায়নে করে দিবো এবং প্রয়োজন যদি হয় যে দুইজন পুলিশ সকালে দুইজন রাতে দুইজন তাদের যদি বেতনও দিতে হয় সেইটাও দিবো আমি নিজ অর্থায়নে। কিন্তু আমি চাই আজকে যারা যুবক তারা আগামীর দিনের ভবিষ্যত। এই যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য কিছু কুচক্রী মহল পিছে লেগেছে। কারন তারা জানে বাঙ্গালী জাতি অনেক সাহসী জাতি। ৯ মাস যুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীনতার পতাকা লাল সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে। তাই আমি চাই এই মাননীয় সুযোগ্য পুলিশ সুপার যারা আছেন তাদের মাধ্যমে এর প্রতিকার পেতে এবং কন্টিনিউ যেন আমার ওয়ার্ডের মধ্যে ৪জন পুলিশ যেন কন্টিনিউ থাকে সেই ক্যাম্প আমি নিজ অর্থায়নে করে দিবো। অলরেডি আমি জায়গাটি পরিদর্শন করিয়েছি। আশা করছি আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সেটা উদ্বোধন করবো। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় কে দিয়েই ক্যাম্পটির উদ্বোধন করবো।
রোববার ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় কমিউনিটি পুলিশিং নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামানের সভাপতিত্বে ওপেন হাউজ ডে’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী।









Discussion about this post