বিএনিপির নেতাকর্মী ১০/১৫, পুলিশ ৭০/৮০ আর সাংবাদিক শত শত । বিএনপির নেতাকর্মীদের চাইতে পুলিশ বেশী আব পুলিশের চাইতে সাংবাদিক বেশী । এই হলো আন্দোলনের অবস্থা । কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নির্দেশনা থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা যেমন রাজপথে নামার চেষ্টা চালায় ঠিক তেমনি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কঠোর আদেশে কোন অবস্থাতেই সড়কে দাড়াতে দেয় নাই আন্দালনকারীদের। আর এমন সংবাদের কোন অংশই যাতে বাদ না পরে সেই লক্ষ্যে পেশাগত দায়িত্বপালন করতে শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীর উপস্তিতি ছিলো লক্ষনীয় । এমন মন্তব্য ছিলো শহরবাসীর
এনএনইউ রিপোর্ট :
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মিছিল নস্যাত করে দিয়েছে পুলিশের একাধিক দল । ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ বালুর মাঠ এলাকার প্যারাডাইস ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করতে পারলেও এবার দাঁড়ানোর আগেই ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ ।
২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পেছনের গলিতে একত্রিত হয়ে মিছিল করার কথা থাকলেও পুলিশ সকাল থেকে পাহারা দিতে থাকে।
নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হয়ে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। পরে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসলাম হার্ট সেন্টারের সামনে থেকে ব্যানার খুলে মিছিল শুরু করতে চাইলে পুলিশ এসে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাড়ে ১০টায় করার কথা থাকলেও আমরা ১০টা ২০মিনিটে শুরু করার সাথে সাথে পুলিশ দৌড়ে এসে আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশ আমাদেরকে বলে যে, ‘কোনভাবেই মিছিল করতে দিব না। আপনাদের পারমিশন নাই। আপনাদেরকে দাঁড়াতেই দিব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তো রাস্তায় বসছি না। কোনো ধরনের যানজট তৈরী করছি না। জনগনের কোনো কষ্ট হয় আমরা সেটা করছি না। আমরা আমাদের মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা কোনো ভাবেই করতে দেয় নাই । আমাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে ।’
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাই জানান, আসলে চার পাঁচজন মানুষ নিয়ে একটি ব্যানার নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করেছিল। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিকে তাঁরা অস্থিতিশীলতা তৈরী করার চেষ্টা করবে। মিছিল নিয়ে বের হবে সড়কে বাস আটকে যাবে জ্যাম লাগবে। সব মিলিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই জন্য করতে দেওয়া হয় নাই।
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক আওলাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু প্রমুখ।









Discussion about this post