নানাভাবে বিতর্কিত বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজিম উদ্দিনের সমালোচনা করেছেন এমপি সেলিম ওসমান। একজন কলাগাছিয়াতে নির্বাচন করছেন। আজকে ১২৬৫ জন শিক্ষার্থী আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক। কোন লুটেরাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে কোন লাভ হবে না। গাঞ্জার নৌকা কখনো তাল গাছে উঠবে না। কলাগাছিয়াতে লাঙল প্রতীকে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। আমি কোন জোরের কথা বলছি না। কলাগাছিয়াতে দেলোয়ার হোসেন জিতলে আরো বেশী উন্নয়ন করবো। আমি তাই দেলোয়ারকে চাই।
এভাবেই কঠোর ভাষায় গাঞ্জার নৌকা বলে মন্তব্য করে কোমলমতি শিশুদের কাছে আবার ক্ষমাও চেয়েছেন সাংসদ সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান বলেন, আমরা গাঞ্জার নৌকা না। শ্রমিক নেতা, তিতাস গ্যাসের নেতা, বাড়িতে বাড়িতে লাইন দিয়া বন্দরের মানুষকে ১২টা বাজায়া নেতাগিরি করে। পয়সা কামাইসে সেই পয়সা এখন খরচ করতে হবে । হারামের পয়সা ব্যারামে খায়। উনার ব্যারামের পয়সা ইলেকশনে খরচ করছে। আমার দেলোয়ারের কোন পয়সা খরচ করতে হবে না। ইনশাআল্লাহ আমার ও আমার পরিবারের দোয়া দেলোয়ারের সাথে থাকবে। জয়ী দেলোয়ার হবেই। দেলোয়ারের সাথেই কলাগাছিয়ার উন্নয়ন হবে। আমি মোটেও ভয় পাইনি যে গাঞ্জার নৌকার সাথে ফাইট করছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) বন্দরের ২৩ নং ওয়ার্ডে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের নব নির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমার সাথে ৩ জন মানুষ কাজ করেছেন। একজন মুকুল, আরেকজন আমার বন্ধু প্রয়াত আবু জাহের সাহেব, আরেকজন বিশিষ্ট নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান (এম এ রশিদ)। উনি আজ এখানে নেই, উনি কলাগাইচ্ছায় (কলাগাছিয়া ইউনিয়ন) গাঞ্জার নৌকা তালগাছে উঠাইতে গেছেন। উনার বুঝা উচিৎ এইটারে (নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন) আজকে চেয়ারম্যান বানালে কয়েকদিন পরেই থাকবে না। কোন লুটেরাকে চেয়ারম্যান বানায়া আপনার কোন লাভ হবে না। গাঞ্জার নৌকা কখনও তালগাছ দিয়ে উঠবে না।
সাংসদ সেলিম ওসমান কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে দাড়িয়ে এমন মন্তব্যে বন্দর উপজেলা ছাড়াও নগরীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই বলেছেন, সঙ্গে থাকলে সঙ্গি, সঙ্গে না থাকলে জঙ্গি !“
অনেকেই আরো বলেছেন, কে না জানেন কাজিম উদ্দিন একজন গ্যাস চোরদের গডফাদার। কাজিম উদ্দিন সাথে নিয়েই এতদিন কেন ছিলেন সাংসদ সেলিম ওসমান ? বিভিন্ন মঞ্চে সাংসদের সাথে তাকেও দেখা গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, একজন লুটেরাকে তখন কেন কাছাকাছি আসতে দিতেন তিনি ? তারা আরও বলেন, আসলে বিষয়টা তা নয়, বিষয় হচ্ছে, যারা তাদের সঙ্গে থাকবে তারাই সঙ্গী। দূরত্ব সৃষ্টি হলেই তারা অমুক, তমুক কত কি। যেমন আজ কাজিম দূরে সরে আসাতে লুটেরা। দেলোয়ার ভালো। কাল যদি দেলোয়ারও সরে আসেন তাহলে এভাবেই সবার সামনে বক্তব্য দিয়ে তাকে তিনিও হয়তো ‘তেল চোরা দেলু’ বলেও অবহিত করতে পারেন । অনেকেই আরো বলেন, কলাগাইচ্ছা (কলাগাছিয়া) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে সেলিম ওসমান গাঞ্জা বলে যে মন্তব্য করেছেন তা অনেকই অনুধাবণ করতে পারছেন না । তরে কি কাজিম উদ্দিন গাজা খায় ? পুরো এলাকার সকলেই জানেন তেলচোরা দেলু মদ সেবন করেই চেয়ারম্যানের টেবিলে বসে বিচার শালিসী করতেন । কিন্তু এখন জানা গেলো হয়তো কাজিম গাজা খায় । নইলে এমপি সাহেব এই গাঞ্জার নৌকা বলবেন কেন? এমন বিতর্কিতদের নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন সেলিম ওসমান । যা তিনি না করলেও পারতেন ।








Discussion about this post