বিদেশী পন্যে আমদানি কারকের নাম নেই, মুল্য নেই ! তাহলে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে বিদেশী নামীদামী পন্যের হুবহু নকল করে একটি বিশাল চক্র প্রসাধনী সামগ্রী নকলের বাজারে পরিনত করেছে ।
বিদেশী এই পণ্য সামগ্রী কি আসলেই নকল কিনা, তা যাচাই করবে কে ? নারায়ণগঞ্জ শহরের হাতেগোনা কয়েকটি প্রসাধনীর দোকান ছাড়া প্রায় সকল দোকানী নকল পণ্য বিক্রি করে একদিকে নিজেরা আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন । অপরদিকে এমন হাজারো ভোক্তা সাধারণ নকল পণ্য ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
শত শত প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে নকলমুক্ত কয়টি দোকান আছে ? আর বিদেশী নাম করে নকল প্রসাধনীর গ্যারান্টি কে দিবেন ? সর্বোচ্চ শতকরা ৫ জন দোকানী বৈধ ব্যবসা করেন কিনা তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপস্থিত অনেকেই
ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, বিভিন্ন বিদেশী প্রসাধনী পণ্যে আমদানি কারকের নাম ও পণ্যের গায়ে মূল্য না থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত পানোরামা প্লাজায় ৫টি প্রসাধনী দোকানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
২ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দেবনাথ ও কামরুল হাসান মারুফের যৌথ নেতৃত্বে ওই ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পানোরামা প্লাজার নীচ তলায় ৫ টি প্রসাধনী দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হলে প্রতিটি দোকানে আমদানী কারকের নাম ও মূল্য তালিকাহীন বিদেশী পণ্য পাওয়া যায়।
যে কারণে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৫ ধারায় প্রতিটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। জরিমানা করা দোকানগুলো হলো উৎসব গিফ্ট কর্ণার, শ্রাবণী প্রসাধনী ও সাধারণ বিপনী, রাজু বিউটি কর্ণার, শামা কসমেটিক্স এন্ড জেনারেল স্টোর ও ইভা ফ্যাশন এন্ড জেনারেল স্টোর।
পলাশ কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন দোকানে ট্রেড লাইসেন্স ছিল না। বিদেশী পণ্যের আমদানী কারকের নাম এবং নির্ধারিত মূল্য না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। এবং তাঁদেরকে বলেছি যেন ভবিষ্যতে এরকম কাজ করা থেকে বিরত থাকে। জেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে ।









Discussion about this post