এক প্রকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার উপরে ফেলার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে হেফাজত ইসলামের কয়েকজন নেতা সারাদেশে এক ধরণের তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলো । আইনশৃংখলা বাহিনী কখনো কখনো অসহায় হয়ে কোমলমতি শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছিলো না । এই শিশুদের পুজিঁ করে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে হেফাজত ইসলামীর নেতারা তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলো ।
হরতালের নাশকতা ছাড়াও সরকারের সকল আদেশ নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে একের পর এক নাশকতায় অসংখ্য প্রাণ ঝড়ানোর পর চরম উত্তেজানার এক পর্যায়ের ৩ এপ্রিল নারী নিয়ে ফুর্তিবাজী করতে এসে ধরা পরে ধর্মীয় নেতা দাবীদার হেফাজত ইসলামীর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক । মামুনুল হককে নারীসহ স্থানীয় জনতা ও আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করলে ফের ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে নারীসহ এই লম্পট কে ছিনিয়ে নেয় লেবাসধারীরা। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনায় হেফাজত ইসলাম তাদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে।
২৬ এপ্রিল হেফাজত ইসলামীর সেই কমিটি ঘোষনার পর অনেক চড়াই উৎরাই শেষে আজ ৭ জুন সোমবার ফের নতুন কমিটি ঘোষনা করে ঢাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও এ এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এ কমিটি ঘোষণা করেন। এই নতুন কমিটির ঘোষনায় উঠে আসে নারায়ণগঞ্জের আরেক বিতর্কিত হেফাজত নেতা মাওলানা আবদুল আউয়ালের নাম । যার মান ভাঙ্গাতে (নারী কেলেংকারীর একদিন আগে) ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের এসেছিলো সেই লম্পট মামুনুল হক । দীর্ঘ সময় গোপন বৈঠকের পর মান ভাঙ্গিয়ে মাওলানা আউয়ালকে দলে টিকিয়ে রেখে ঢাকায় ফিরেই নারী নিয়ে ফুর্তি করার পরিকল্পনা করে নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁ রিসোর্টে এসেই ফেঁসে যায় লম্পট মুখোষধারী মামুনুল হক । সেই মামুনুল হকের পদেই অধিষ্ঠিত হলো নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদের ঈমাম মাওলানা আবদুল আইয়াল । যার বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা সমালোচনা
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ ‘বিতর্কিত’ নেতাদের বাদ দিয়ে ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে জুনাইদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম খিলগাঁও এ এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এ কমিটি ঘোষণা করেন।
এর আগে, নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সংগঠনের আমির জুনাইদ বাবুনগরী। ওই দিনই কয়েক ঘণ্টা পর বিলুপ্ত কমিটির উপদেষ্টা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর নেতৃত্বে আহ্বায়ক কমিটিতে প্রথমে আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে রাখা হয়। এর পর তাদের সালাহ উদ্দিন নানুপুরী ও মিজানুর রহমান চৌধুরীকে যুক্ত করে কমিটির সদস্য সংখ্যা পাঁচ জন করা হয়।









Discussion about this post