জমি নিয়ে নানা ঝামেলার পর চাষাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে মুফতি নজরুল ইসলাম ও তার চেলা ওহাব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে । এই নজরুলের পক্ষে কোন কোন সন্ত্রাসীরা এলাকায় তান্ডব চালাতো তা সকলেই জানেন
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার ফতুল্লায় একটি বাড়িতে চোরাই গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন স্বামী স্ত্রী । আশংকাজনক অবস্থায় স্বামী স্ত্রী শরীফ ও তার ফরিদাকে তাদের উদ্ধার করে শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
জান গেছে, ফতুল্লার কায়েমপুরের ওই বাড়িটির নিচ তলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাক। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এবং ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে জামিয়া দারুস সালাম নামে মাদ্রাসা দিয়েছেন বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম । যার বিরুদ্ধে জমি দখল, চোরাই গ্যাস সংযোগসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে । এই বাড়িতে মুফতি নজরুল ইসলাম বসবাস না করলেও ফকির গার্মেন্টসের অপারেটর ওহাব মিয়া এই বাড়িতে কর্তৃত্ব চালাতো ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে খোঁজ খবর নিতে চাইলেও বাড়ির ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া কাউকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি। এ সময় দগ্ধ ফরিদার চিৎকার শুনে লোকজন জোর করে গেইট খুলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরের ভেতর দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান ।
ভাড়াটিয়ারা জানান, যে ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই রয়েছে গ্যাসের চুলা। ঘরে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিল বহু আগ থেকেই। বিষয়টি বাড়ির কর্তৃত্ব প্রদানকারী গার্মেন্টসের অপারেটর ওহাবকে বারাবার জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো নানাভাবে ভাড়াটিয়াদের হুমকি প্রদান করে আসছিলো ।
এলাকাবাসী ও ভাড়াটিয়াদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, মুফতি নজরুল ইসলাম এই বাড়ীটির সম্পত্তি সামান্য ক্রয় করলেও চাষাড়া রাম বাবু পুকুর পাড় এলাকার জামে মসজিদে ইমামতি করাকালীন সময়ে স্থানীয়দের সাথে সখ্যতা তৈরী করে । সেই সখ্যতার সুযোগ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের শেল্টারে এলাকায় প্রভাব বিস্তাব করে এলাকায় তান্ডব চালাতো । জমি নিয়ে নানা ঝামেলার পর চাষাড়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে মুফতি নজরুল ইসলাম ও তার চেলা ওহাব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন । এরই ধারাবাহিকতায় গার্মেন্টসকর্মী ওহাব মিয়া বিস্ফোরেণের পরও হতাহতদের উদ্ধার করতে কাউকেই বাড়ীর ভিতরে প্রবশে করতে দেয় নাই ।
এ বিষয়ে কেয়ারটেকার ওহাব মিয়া জানান, সামান্য পুড়েছে । এটা নিয়ে স্থানীয় লোকজন হৈ চৈ করছে । আমি হাসপাতালে যাচ্ছি তাদের খোঁজ খবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো ।
ঢামেক সূত্র জানান, স্বামী শরীফের সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তার স্ত্রী ফরিদার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।









Discussion about this post