বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ থেকে শত শত লোক বিভিন্ন পন্থায় দেশের নিজ নিজ জেলায় চালিয়ে যাচ্ছে । অনেকে ট্রলারে, অনেকে পণ্যবাহী ট্রাকে আবার অনেকে অত্যান্ত গোপনে অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া করে পালিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ এলাকায় । নারায়ণগঞ্জ শহরের সেন্ট্রাল ক্লিনিক, খানপুর হাসপাতালের আবু সিদ্দিকের মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় রোগীর নামে লোকজন পাচার করে আসছিলো । এমন অসংখ্য ঘটনা ধরা পরার পরও নারায়ণগঞ্জের অসাধু অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবসায়ীরা এমন অপকর্ম চালিয়েই যাচ্ছে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
লকডাউন উপেক্ষা করে ছয় ব্যক্তি রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে আসেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়েন তারা।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানায়। পরে পুলিশ ওই অ্যাম্বুলেন্সটিকে জব্দ করে এবং ওই ছয় যাত্রীকে পুলিশ আটক করে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন জানান, অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় এবং ওই ছয় ব্যক্তিকে উপজেলার ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজের শ্রেণিকক্ষে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
ওই ছয় ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) তাদের নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস শনাক্তরণের জন্য পাঠানো হবে।’









Discussion about this post