সাম্প্রতিক সময়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, মাদকের সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে একাধিক চক্র নানাভাবে রূপগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছে । প্রতিনিয়তঃ অস্ত্রের ঝনঝনানি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা – মামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে । অপরাধীদের এমন দৌড়াত্মের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে একাধিকবার হামলায় রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে ।
এমন একের পর এক ঘটনায় সাড়াসী অভিযান চালিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের কেন্দুয়া এলাকার বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের অজুখানার ছাদ থেকে থেকে ১১০টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে রূপগঞ্জ থাবা পুলিশ ।
রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার মো. কাউসার নামের এক যুবককে আটকের পর তার দেয়া তথ্য ও দেখানো মতো এই বিশাল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার করা হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷
কাউসারের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ অভিযান চালায় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আবির হোসেন নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে জানান, মঙ্গলবার রূপগঞ্জে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের দুই পাশে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে মায়ারবাড়ী এলাকায় দুই পক্ষের যে সংঘর্ষ হয়েছে, সে ঘটনার জেরে এই অস্ত্রগুলো মজুদ করা হয়েছে। আটক যুবককে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ভোলাব পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পরির্দশক মাহাবুবুর রহমান জানান, রূপগঞ্জে কাঞ্চন পৌর এলাকায় গত কিছু দিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে। গতকাল একটি এলাকায় বালু ফেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল কলি ও পৌর যুবলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম সহ আরও বিষয়ে আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে মহড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পরির্দশক মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, আজ কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া লোহার পাইপও রয়েছে। আমরা ধারণা করছি, এসব দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষেও পরিকল্পনা করা হয়ে ছিলো। পুলিশ দেশী অস্ত্রের মজুদকারীদের গ্রেপ্তার সহ তাদের বিররুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে কাঞ্চন পৌরসভা মেয়র রফিকুল ইসলাম ও তার বহু হত্যা মামলার আসামী শফিকুল ইসলাম সফি, তারিকুল ইসলাম মোগল ও সকলের বড় ভাই নজরুল পুরো রূপগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের বাড়ি লাগোয়া মসজিদের অজুখানার ছাদে এই ধারালো অস্ত্র মজুদ থাকাবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ।
পুলিশের এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে কাঞ্চন পৌরসভার অনেকেই বলেছেন, এই অস্ত্র উদ্ধার না হলে বড় ধরনের অঘটন ঘটাতো মেয়রের খুনি পরিবারের সদস্যরা । তাদের কাছে আরো অস্ত্র থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই । এর পূর্বে উদ্ধারকৃত বিশাল অস্ত্র ভান্ডারের সাথে এই চক্রের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলেও ধারণা এলাকাবাসীর ।









Discussion about this post