নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ১০ কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
তবে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি, ছাত্রদল সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করার কারণে তারা ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
রোববার বিকালে উপজেলার সাওঘাট এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ জুয়েল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সাওঘাট এলাকায় সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
সভায় জেলা ছাত্রদল নেতা, সফিক, শান্ত, মামুন, মোমেন, ফতুল্লা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুলন, আড়াইহাজার ছাত্রদলের আহ্বায়ক দিপু, রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল হকসহ জেলা ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিট উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সভা শেষে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলে শেষ পর্যায়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সৌরভের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলায় বাদশা মিয়া, রাসেল, জুবায়েরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দাবি করেন।
হামলা ও আহতের ঘটনা অস্বীকার করে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার বলেন, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে উচ্ছৃঙ্খলতা করছিল। এতে পথচারী থেকে শুরু করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ছাত্রদলের ওপর হামলা মানে আমি মনে করি গণতন্ত্রে উপর হামলা। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানাই।









Discussion about this post