দেশের প্রায় প্রতিটি মর্গে (লাশ কাটার ঘর) ডোম ও তাদের সহযোগীরা লাশ কাটতে নেশা করার জন্য মদ কিনতে নিহতের স্বজন কিংবা লাশ আনয়নকারী পুলিশ সদস্যদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে । চাহিদা মতো টাকা না পেলে ডোম লাশের মাথে, বুক কেটে তা সেলাই না করে ফেলে সটকে পরে৷ এরপর চলে দরকষাকষি । টাকা হাতে পেয়ে ফের লাশ সেলাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ডোম । এমন কান্ড ডোম প্রতিনিয়তঃঃ ঘটালেও এবার একজন চিকিৎসক ডোমের মতো কান্ড ঘটিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি :
ডাক্তারের টাকা না দেয়ায় অপারেশন থিয়েটার থেকে পেট কাটাবস্থায় বাড়িতে পাঠাল রোগীকে, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রোগী।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার আলহাজ্ব সূফী মোহাম্মদ দায়েম উদ্দিন হাসপাতালে রোগীকে জিম্মি করে অপারেশনের নামে স্বজনদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবী করার অভিযোগ ওঠেছে।
গতকাল ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ওই হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডা.মো.নুরুল মোমেন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে রোগী বাবুলের পরিবার এ অভিযোগ তুলেন।
রূপগঞ্জ সদর এলাকার সোহেল মিয়া জানায়, তার বাবা বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভূগছিলেন। পেটের ব্যাথা বাড়তে থাকায় আলহাজ্ব সূফী মোহাম্মদ দায়েম উদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায়।
পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মো.নুরুল মোমেন ভুঁইয়ার স্মরণাপন্ন হন। এক হাজার টাকা ভিজিটে চিকিৎসক মোমেন ভুঁইয়ার দেয়া প্রেসকিপশন অনুযায়ী কিছুদিন ওষুধ সেবন করেন বাবুল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে পুনরায় হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যায়ক্রমে বাবুলকে ১৪টি পরিক্ষা করানো হয়।
পরে চিকিৎসক মোমেন জানান, বাবুলের পেটের চর্বিতে একটি টিউমার দেখা দিয়েছে। অপারেশন করালেই সমস্যা সমাধান হবে। অপারেশন খরচ পড়বে ২২ হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করার শর্তে রাজি হোন ওই চিকিৎসক।
আলহাজ্ব সূফী মোহাম্মদ দায়েম উদ্দিন হাসপাতালে অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাপাতি না থাকায় রোগীকে উপজেলার ভুলতাস্থ মেমোরী হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। শর্ত অনুযায়ী ডা.মো. নুরুল মোমেন ভুঁইয়াকে সকল খরচসহ ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি না দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।
তার কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসক মোমেন রোগীর স্বজনদের জানান, বাবুলের পেট কাটার পর দেখা গেছে টিউমারটি অনেক বড়। এই অপারেশনের জন্য ২ লাখ টাকা দিতে হবে। আর ডাক্তারের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় অস্ত্রপাচার না করেই কাটা অংশ সেলাই করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওই চিকিৎসক।
এদিকে রোগী বাবুলকে ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেছে রোগীর পরিবার। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে ডা.মো.নূরুল মোমেন ভুঁইয়া জানান, অস্ত্রপাচার করতে গিয়ে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর পেট কাটার পর টিউমারটি অনেক বড় দেখা গেছে। এজন্য অপারেশনের জন্য ২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে।









Discussion about this post