‘সকাল ৬টা থেকে সারাদেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে৷ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সাংবাদিক ভাইদের নিয়ে জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করার চেষ্টা করছি।
আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, আসুন নিজে বাঁচি এবং অপরকে বাঁচতে সহায়তা করি। অপ্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বের না হই এবং সরকার যে সকল বিধি-নিষেধ দিয়েছে সকলকে আহবান করবো সে সকল বিধি-নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলার জন্যে। কেউ যদি বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা কারো প্রতি নির্দয় হতে চাই না, আমরা চাই সকলের সচেতনতার মাধ্যমে এই লকডাউন কার্যকর হোক এবং এই মহামারী কোভিড থেকে নারায়ণগঞ্জবাসী মুক্ত থাকুক।’
লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নগরীর চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভে গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া এক ব্রিফিংকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ফুয়াদ উল্লেখিত বক্তব্য প্রদান করেন ।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাইকিং করে পুরো নগরবাসীকে সতর্ক করা হয় । শহরের চাষাড়া থেকে মেট্টো হল চত্ত্বর ঘুরে এক নং রেল গেইট – ২নং রেল গেইট দিয়ে নিতাইগঞ্জে পর্যন্ত পরিদর্শন করে ফের বংগবন্ধু সড়কের পদক্ষিন করেন এসপি জায়েদুলসহ সকল কর্মকর্তাগণ ।
তিনি বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করার জন্যে জেলায় ত্রিশের অধিক চেকপোস্ট বসিয়েছি এবং আমাদের মোবাইল পার্টিগুলো নগরীতে টহলরত অবস্থায় রয়েছে। আমরা যেকোনো মূল্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো যাওয়া রোধ করা এবং অন্য জেলা থেকে যেনো কেউ নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। শুধুমাত্র কলকারখানা এবং জরুরি যেসব পরিষেবা রয়েছে সেসব চালু থাকবে। পাড়ামহল্লাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করার জন্যে আমরা ইতিমধ্যে মাইকিং করেছি এবং সেখানে আমাদের মোবাইল পার্টিগুলো কাজ করছে। সুর্নিদিষ্ট কারণ ছাড়া আমরা কাউকেই চলাচলের জন্যে অনুমতি দিচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘মুভমেন্ট পাস এটি একটি অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম। এটি গতকালকে আমাদের আইজিপি স্যার উদ্বোধন করেছেন। এটির মাধ্যমে আপনি কোন জায়গা থেকে কোন জায়গায় যাবেন এবং কী কাজে যাবেন সেগুলো যদি আপনি অনলাইনে পূরণ করলে আপনাকে অনলাইন পাসটি দিবে। এটা সেন্ট্রালি হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ বা নির্দিষ্ট কোনো জেলার জন্যে নয়। কাঁচাবাজার, খাবারের দোকানপাটগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্যে আমাদের ডিবি পুলিশ এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শফিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব উদ্দিন, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, পরিদর্শক (ট্রাফিক) কামরুল বেগ, পরদর্শক (ট্রাফিক) বিশ্বজিত সাহা সহ গণমাধ্যমের অনেকেই ।








Discussion about this post