নারায়ণগঞ্জ শহরের অবস্থা দেখে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের এই মেয়র বলেন, শহর দেখলে মনে হয় কোন মা-বাপ নাই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে। এ শহরে বাস ও ট্রাকের নগরী হয়ে গেছে। শহরের ফুটপাতে হাঁটার জন্য সেদিন (২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারী) মার খেয়েছি। সেদিন মৃত্যুই হতো। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি। মানুষের হাঁটার অধিকার কেড়ে নিয়ে যেভাবে ফুটপাতে হকার বসেছে তেমনি সড়কের পাশেও অবৈধ স্ট্যান্ড বসেছে।
সোমবার ৫ অক্টোবর বিকেলে শহরের খানপুরে গঞ্জে আলী খাল পরিদর্শন করার সময়ে গণমাধ্যমকে আইভী এসব কথা বলেন।
মেয়র আইভী বলেন, ‘এসব নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে। কিছুদিন আগানোর পর আবার কাজ থেমে যায়। এ শহর দেখলে মনে হয় কোন মা বাপ নাই। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট নাই, পুলিশ নাই। এভাবে চলতে পারে না। আমরা চাই শতাধিক পুলিশ আমাদের দেওয়া হোক। আমরা তাদের বেতন দিব।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগর ভবনের সামনে থেকে বের হয় মেয়র আইভী। এদিকে চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগের একাংশের শত শত নেতাকর্মী ও হকাররা অবস্থান নেয় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে। মেয়র আইভী পায়ে হেঁটে নগর থেকে চাষাঢ়ার দিকে আসতে থাকে। এমন অবস্থায় চাষাঢ়া সায়াম প্লাজার সামনে চলে আসেন আইভী। এদিকে শহীদ মিনার থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন ও হকাররাও সায়াম প্লাজার দিকে যাওয়া শুরু করে। এরি মধ্যে শুরু হয়ে যায় দুই গ্রæপের মধ্যে মারামারি ইটপাটকেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষের শুরুতেই হকারদের কাছ থেকে এত পরিমাণ বৃষ্টির মত ইটপাটকেল আসতে থাকে যে আইভীকে তখন রক্ষা করতে মানবঢাল তৈরি করতে বাধ্য করা হয়। বৃষ্টির মত ইটপাটকেলের সঙ্গে আসতে থাকে একের পর এক গুলি। মিছিল থেকে ছোড়া হয় ওই গুলি। আর ওই সময়ে আইভীকে থাকতে হয় অস্ত্র ও গুলির সামনে। প্রায় ১০ মিনিট ওই অবস্থা চলার পর আইভী সমর্থিত আরো লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তবে ওই সময়টাতে আইভীকে রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকতে দেখা যায়। এসময় তাদের ছোড়া ঢিলে মেয়র আইভী আহত হন।









Discussion about this post