পরিবার, পরিজন, এলাকাবাসী ও ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, ফয়সাল সুজনের শ্বাস কষ্ট, জ্বর, সর্দি ছিল; এমন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ।
ফয়সাল সুজন (৪৫) বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর পুরো এলাকাবাসী নিজেদেরকে ঘরবন্দদি করে রাখেন । ৮/১০ দিন শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি নিয়ে অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার সারা দিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে । ফের রাত ১২ টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর নিহত ফয়সাল সুজনের লাশ সারারাত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১নং বাবুরাইলের মাঝার সংলগ্ন সড়কে পরে ছিলো।সুজনের কয়েকজন বোন ও পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছাড়া আর কাউকেই দেখা যায় নাই লাশের পাশে ।
খবর পেয়ে রাত আড়াইটায় আসে সদর থানা পুলিশ । কোন সিদ্ধান্ত ছাড়া ফিরে গেলে ফের শনিবার সকালে পুলিশের আরেকটি টিম বাবুরাইল নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত দেন।
শুরু হয় মসজিদের মাইকে জানাযার ঘোষণা । পুরো বাবুরাইলজুড়ে ফয়সাল সুজনের মৃত্যুর ঘটনায় সৃস্টি হয় আতংক ৷
পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্বজন্দের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে স্ট্রোক, সিভিল সার্জনও বলছেন একই কথা, করোনা নয়। তারপরেও এলাকাবাসী করোনা সন্দেহে লাশের পাশে যাচ্ছেন না।
শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ চিত্র দেখা যায় নগরীর বাবুরাইল মাজারের পিছনের একটি বাড়িতে এমন চিত্র দেখা যায় । এখন কেউ লাশের পাশে যাচ্ছে না, তবে মাইকিং হচ্ছে দুপুরে দাফনের জন্য।
নিহত ফয়সাল সুজন বাবুরাইল এলাকার মরহুম আলাউদ্দিন আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শহরে তার রেডিমেট গার্মেন্টস। চায়না এবং ইন্ডিয়াতে মালামাল বেচাকেনা করতো। ডিসেম্বরে চীন থেকে এসেছে, ১৫ দিন আগে এসেছে ভারত থেকে। সকালে সিভিল সার্জনের একটা টিম তাকে নিয়ে যায়। পরে আবার দিয়ে যায়। সন্ধ্যা শরীর বেশি খারাপ হলে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে সে মারা যায়। মৃত্যুর আগে শ্বাস কষ্ট, জ্বর ও সর্দি ছিল।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, বাবুরাইলে মৃত ওই ব্যক্তির করোনাতে মৃত্যু হয়নি। তবে, সবাইকে বাসায় থাকার অনুরোধ করেন তিনি।









Discussion about this post